যাত্রী সেজে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি ধরলেন ইউএনও, ৩ মাসের দণ্ড

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন্নাহার শেফা - সমকাল
দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২২ | ১০:০৩ | আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২২ | ১১:০১
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ট্রেন টিকিট কালোবাজারির অপরাধে আসলাম হোসেন (৩২) নামে এক রেলওয়ে কর্মচারীকে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় সোনা মিয়া (৩২) নামে আরেক কালোবাজারি পালিয়ে যান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দেওয়ানগঞ্জ বাজার রেলস্টেশনে ছদ্মবেশে যাত্রী সেজে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন্নাহার শেফা।
জানা যায়, দেওয়ানগঞ্জ বাজার রেলস্টেশনে আন্তঃনগর তিস্তার আসন বরাদ্দ ১১৪টি। এর মধ্যে স্টেশনের কাউন্টার ৫৭টি ও অনলাইনে ৫৭টি টিকিট বিক্রি করা হয়। কিন্তু টিকিটের তুলনায় এ স্টেশনে যাত্রীর চাপ থাকে কয়েকগুণ বেশি। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তিরা গড়ে তুলেন টিকিট কালোবাজারি সিন্ডিকেট। তারা কাউন্টার থেকে ও অনলাইনে একাধিক আইডি ব্যবহার করে টিকিট কেটে পরে যাত্রীদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করেন। টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে যথারীতি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু প্রায়ই প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পরে তারা।
বৃহস্পতিবার আন্তঃনগর তিস্তা ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার জন্যে দেওয়ানগঞ্জ বাজার রেলস্টেশনে দাঁড়ানো ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ইউএনও। তিনি যাত্রী সেজে ঢাকা যাওয়ার কথা বলে তিস্তা ট্রেনের অ্যাটেনডেন্ট আসলাম হোসেন ও স্থানীয় খোলাবাড়ী গ্রামের সোনা মিয়ার কাছে টিকিট কিনতে চান। তার কাছে চড়া দামে ঢাকা যাওয়ার টিকিট বিক্রি করেন তারা। এ সময় আসলামকে হাতেনাতে আটক করলেওপালিয়ে যান সোনা মিয়া । পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে আসলাম হোসেনকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসলাম হোসেন আন্তঃনগর তিস্তার অ্যাটেনডেন্ট। তার বাড়ী গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায়। পরে পলাতক সোনা মিয়ার নামে মামলার আদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী ইউএনও।
এ বিষয়ে দেওয়ানগঞ্জ বাজার স্টেশন মাস্টার আব্দুল বাতেন সমকালকে বলেন, আসলাম হোসেন ও সোনা মিয়ার কাছে ঢাকা যাওয়ার ছয়টি টিকিট ছিল। এর মধ্যে ইসলামপুর থেকে ঢাকা গন্তব্যের চারটি এবং অপর দুটি মেলান্দহ থেকে ঢাকার।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুন্নাহার শেফা সমকালকে বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর-৪৬ ধারায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় একজনকে আটক করে তিন মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয় ও একজন পালিয়ে যায়। পলাতক কালোবাজারির নামে মামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
- বিষয় :
- টিকিট কালোবাজারি
- ট্রেন টিকিট