ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

কিশোর অপরাধ ঠেকাতে চেয়ারম্যানের মাইকিং

কিশোর অপরাধ ঠেকাতে চেয়ারম্যানের মাইকিং

প্রতীকী ছবি

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২২ | ০১:৩৪

বাউফলে কিশোর অপরাধ সংশোধনে মাইকিং করে সতর্ক করলেন স্থানীয় সরকারের গ্রামীণ আদালতের সালিশ ও বিচার কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ফয়সাল আহম্মেদ মনির হোসেন। গত রোববার ও গতকাল বৃহস্পতিবার কালাইয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হয়। শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত, মাদক সেবন ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ানোয় উৎকণ্ঠা ও ভীতি তৈরি হওয়ায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় কিশোর দলের আধিপত্য নিয়ে সহিংস ঘটনা ঘটছে। এসব দলের সদস্যদের বয়স ১৪ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় তারা দলবদ্ধভাবে অপরাধে জড়াচ্ছে। অধিপত্য বিস্তার নিয়ে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মারামারিতে লিপ্ত হচ্ছে। মেয়েদের যৌন হয়রানি ও মাদক সেবনসহ নানা অপকর্ম করছে।

গত ২০ নভেম্বর কনকদিয়া বাজারে আসাদুল নামের বালিকা বিদ্যালয়ের এক কর্মচারীকে পিটিয়ে আহত করে কিশোর দলের সদস্যরা। গত ৮ নভেম্বর দুই পক্ষের হামলা ও পাল্টা হামলায় আতঙ্ক ছড়ায় কালাইয়া বন্দরে। সেখানে অর্ধশত কিশোর এ অপরাধে জড়িত বলে জানা গেছে।

কয়েক মাস আগে এক স্কুলছাত্রীকে বিয়ের কথা বলে ভিডিও করার পর তা ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করে কয়েকজন কিশোর। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী তার ভাইকে ফোন দিয়ে আত্মহত্যা করে।

অপরাধে জড়িত দুই কিশোরের মা বলেন, তাঁর দুই ছেলে নিয়ন্ত্রণে নেই। অপর তিন কিশোরের বাবা জানান, তাঁর সন্তানরা চলে বড় ভাইদের কথায়, প্রতিবাদ করে কী লাভ?

কালাইয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহম্মেদ মনির হোসেন মোল্লা বলেন, সব কিশোরের অভিভাবকদের না চেনায় মাইকিং করা হয়েছে। যাদের চেনেন, তাদের অভিভাবকদের ডেকে সংশোধনের সুযোগ দিয়েছেন। তারা সংশোধন না হলে আইনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মধুসূদন সরকার বলেন, কিশোরদের অবক্ষয়ের জন্য বাবা-মা অনেকাংশে দায়ী। সন্তানের হাতে মোবাইল ফোন তুলে দেওয়ায় ইন্টারনেটে ঘাঁটাঘাঁটি করে সময় পার করছে। ফেসবুকে ব্যস্ততাসহ পর্নো ভিডিও দেখে অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। প্রথম দিকে শোধরানো হলে অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, কিশোর অপরাধ ও উত্ত্যক্তের ঘটনায় ১৪টি মামলা হয়েছে। সব ক'টিতেই চার্জশিট হয়েছে, জেলও খেটেছে। এদের নিয়ন্ত্রণ বা সংশোধনে বড় ভূমিকা রাখতে হবে অভিভাবকদের। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সচেতনতা সভা করতে হবে।

আরও পড়ুন

×