ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

পুলিশ দেখে পলায়ন, ফিরলেন লাশ হয়ে

পুলিশ দেখে পলায়ন, ফিরলেন লাশ হয়ে

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৯:৩৩ | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৯:৩৩

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে একটি অপহরণ মামলা তদন্ত করতে গিয়েছিলেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডির সদস্যরা। উপজেলার খোর্দমেগচামী গ্রামের সোহেল মোল্লা ওরফে কছিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে যান তাঁরা। বাড়িতে গিয়ে জানতে পারেন, সোহেল বাজারে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, একটি চায়ের দোকানে মোটরসাইকেল রেখে চা খাচ্ছিলেন তিনি। দোকানের এক ক্রেতাকে তাঁর বিষয়ে প্রশ্ন করতেই পাশ থেকে সটকে পড়েন সোহেল। এক দৌড়ে চলে যান ফরিদপুরের মধুখালীতে ফুফুর বাড়ি। পরদিন সোমবার সেখান থেকে তাঁর লাশ ফিরেছে।

জানা গেছে, খোর্দমেগচামীর কিশোর শ্রমিক আল আমিন নিখোঁজ হয় গত ৬ সেপ্টেম্বর। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও না পেয়ে ১১ তারিখে জিডি করেন তাঁর বাবা আকিদুল মোল্লা। পরে তিন মাসেও সন্ধান না পেয়ে ১৫ নভেম্বর রাজবাড়ীর আদালতে অপহরণ মামলা করা হয়। সেটি তদন্ত করছে সিআইডি। এরই মধ্যে ৩০ নভেম্বর পার্শ্ববর্তী ফরিদপুরের মধুখালীর বিল সিংহনাথ গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকে মানবদেহের হাড়গোড় উদ্ধার হয়। সেখানে পড়ে থাকা প্যান্ট ও বেল্ট দেখে সেটি আল আমিনের বলে শনাক্ত করেন তাঁর স্বজনরা।

সোহেলের ফুফাতো ভাই হাসিবুল ইসলাম জানান, রোববার সন্ধ্যার দিকে সোহেল তাঁদের বাড়িতে যান। রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ার আগে তিনি বলেছিলেন, ভোরে ডেকে দিতে। ডাকতে গিয়ে দেখেন, সারা শরীর ঘেমে গেছে। তৎক্ষণাৎ তিনি প্রতিবেশী এক চিকিৎসককে ডাকেন। তিনি জানান, 'সোহেলের হার্ট অ্যাটাক হয়েছে।' এ সময় দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

রাজবাড়ী সিআইডির পরিদর্শক জিল্লুর রহমান বলেন, নিখোঁজ আল আমিনের ফোনের একটি সিম সম্প্রতি চালু হলে তার সন্ধানে যাই। ব্যবহারকারী সোহেল বলে নিশ্চিত হয়ে তাঁকে খুঁজতে গেলে তিনি টের পেয়ে পালিয়ে যান। তাঁকে না পাওয়ায় এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি। তবে তাঁর বাইকটি বালিয়াকান্দি থানা হেফাজতে দিয়েছি।

বালিয়াকান্দি থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, সোহেলের স্বজনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

আরও পড়ুন

×