ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

নিখোঁজের ৪ দিন পর মিলল শিশুর লাশ

নিখোঁজের ৪ দিন পর মিলল শিশুর লাশ

প্রতীকী ছবি

আশুগঞ্জ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২২ | ০০:৪৫

বন্দর শ্রমিক বাবার অভাবের সংসার। সাতজনের পরিবারে বড় ভাইও রিকশাচালক, তবে কিছুটা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী, সংসারে তেমন টাকা-পয়সা দেয় না। এ অবস্থায় বাবার সঙ্গে সংসারের হাল ধরতে বারো বছরের ইমন হাতে তুলে নেয় ব্যাটারিচালিত বিভাটেক (ইজিবাইক)। কিন্তু বিধি বাম। বিভাটেকসহ গত চার দিন আগে সে নিখোঁজ হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুগঞ্জের তালশহর ইউনিয়নের আন্দিদিল গ্রামের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ইমন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়নের মৈশাইর গ্রামের নাসির মিয়ার ছেলে।

জানা গেছে, সংসারের হাল ধরতে প্রায় বছরখানেক আগে ভাড়ায় 'বিভাটেক' চালানো শুরু করে ইমন। গত রোববার বিকেলে বিভাটেক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি সে। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি। ছেলে নিখোঁজের বিষয়ে সোমবার সন্ধ্যায় ইমনের বাবা আশুগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় লোকজন আন্দিদিল গ্রামের জনৈক মহিবুল্লাহর নির্মাণাধীণ ফার্মের পূর্বপাশে ছোট ডোবার কচুরিপানার মধ্যে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে। খবর পেয়ে ইমনের পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে ইমনের মরদেহ বলে শনাক্ত করে।

ইমনের স্বজন ও তালশহর (পশ্চিম) ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য এনামুল হকের ধারণা, বিভাটেক ছিনতাইকারীদের চিনে ফেলায় তাকে হত্যা করা হয়। ইমনের বাবা নাসির মিয়া হত্যাকারীদের শনাক্ত করে ফাঁসির দাবি জানান।

আশুগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বলেন, মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তে প্রতিবেদন পেলে হত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

আশুগঞ্জ থানার ওসি আজাদ রহমান বলেন, হত্যাকারীদের শনাক্তে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছে পুলিশ। নিহতের স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

×