লামার ম্রোপাড়ায় আগুনের ঘটনায় অবশেষে মামলা

মধ্যরাতে ম্রোদের ঘর পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। ছবি - সমকাল।
লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৬:৫২ | আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৬:৫২
বান্দরবানের লামায় রেংয়েন ম্রোপাড়ায় বাড়িঘরে আগুন, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার এক সপ্তাহ পর মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১০ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত ১৫০-১৭০ জনকে আসামি করে রোববার এজাহার দায়ের করেন ভুক্তভোগী রেংয়েন ম্রো কার্বারি। হামলার ভয় ও আর্থিক অনটনের কারণে এজাহার দায়েরে দেরি হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন বাদী।
এজাহারে বলা হয়, গত ১ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১২টার দিকে ১০-১২টি ট্রাকে করে লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক মো. কামাল উদ্দিন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, জহিরুল ইসলাম, আরিফ হোসেন, নুরু, দেলোয়ার হোসেন ও তাঁদের সহযোগী দুর্যোধন ত্রিপুরা, হানিরাম ত্রিপুরা, আব্দুল মালেক, মোহসিন রেজাসহ ১৫০-১৭০ জন সন্ত্রাসী রেংয়েন ম্রো কার্বারি পাড়ায় তাণ্ডব চালায়। তারা চামরম ম্রো, রেংওয়াই ম্রো, সিংচং ম্রোদের বসতঘরে কেরোসিন ছিটিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে চিংলত ম্রো, ইউরিং ম্রো, লাংরম ম্রো, রেংইয়ং ম্রো ও নালে ম্রোসহ ৫টি বসতঘর ভাঙচুর করে। আগুনে ৩টি বসতঘরে থাকা ধান, চালসহ যাবতীয় আসবাব, হাঁস-মুরগি, ছাগল, জরুরি কাগজ ও ১৮ হাজার ২০০ টাকা পুড়ে ছাই হয়। সেই সঙ্গে লুট করা হয় বসতঘর। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮ লাখ বলে দাবি করা হয়।
এ বিষয়ে লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন বলেন, তাঁরা পাহাড়িদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াতে চান না। সরকারিভাবে দেওয়া লিজের জমির সীমা নির্ধারণ করে দিলে মেনে নেবেন।
লামা থানার ওসি শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এজাহার পেয়ে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। আইনের চোখে সবাই সমান। কোনো নিরপরাধ ও অসহায় মানুষ এই নিয়মের বাইরে থাকবেন না।