পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত ৪

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০১৯ | ২১:২৮ | আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৯ | ২৩:১১
কক্সবাজার, জয়পুরহাট ও ময়মনসিংহে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গাসহ চারজন নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার গভীর রাত ও শুক্রবার ভোরে এসব ঘটনা ঘটে। টেকনাফ (কক্সবাজার), জয়পুরহাট ও ময়মনসিংহ প্রতিনিধির পাঠানো খবর:
কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিবির সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধের' ঘটনায় দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার ভোর রাতে উপজেলার হোয়াইক্যং লম্বাবিল এলাকায় নাফ নদের তীরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের 'এ' ব্লকের সুলতান আহম্মেদের ছেলে আবুল হাসিম (২৫) ও একই শিবিরের সি ব্লকের আবু সিদ্দিকের ছেলে নূর কামাল (১৯)।
বিজিবির দাবি, ওই দুই রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় চালান নিয়ে আসছিলেন। তারা ইয়াবা পাচারকারি ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে ৫০ হাজার ইয়াবা, একটি দেশীয় বন্দুক, দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজসহ কিরিচ জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিজিবির তিন সদস্য আহত হয়েছেন।
শুক্রবার সকালে সমকালকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান।
তিনি জানান, মিয়ানমার থেকে একটি ইয়াবার চালান এনে নাফ নদ দিয়ে টেকনাফের হোয়াইক্যং লম্বাবিল এলাকায় প্রবেশ করছে- এমন গোপন সংবাদ পেয়ে বিজিবির একটি বিশেষ দল ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। এ সময় একটি নৌকাকে থামনোর নির্দেশ দিলে লাফ দিয়ে দুইজন পাচারকারি পালনোর চেষ্টা করে। তাদের ধাওয়া করলে বিজিবির ওপর গুলি চালায়। বিজিবি আত্মরক্ষার্থে গুলি চালালে দুই পক্ষের মধ্যে ৮ থেকে ১০ মিনিট গোলাগুলি হয়। এরপর পাচারকারিরা গুলি চালিয়ে নৌকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
ফয়সল খান বলেন, পরে ওই এলাকায় তল্লাশি কর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার হাসপাতালে পাঠান। সেখানে ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানে আলম বলেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে দুই রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। তাদের শরীরে গুলির আঘাত রয়েছে। আহত তিন বিজিবি সদস্যকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিজিবি কর্মকর্তা ফয়সল জানান, ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবা ও অস্ত্রসহ কিরিচ জব্দ করা হয়েছে। মৃতদেহ দুটি কক্সবাজার মর্গে রয়েছে এবং এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলেছে।
জয়পুরহাট: জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার ভোরে উপজেলার ভুতগাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আমিনুল ইসলাম ওরফে ক্যাসেট (৪২) উপজেলার পিয়ারা গ্রামের প্রয়াত শাহাবুল ইসলামের ছেলে।
নিহতের বিরুদ্ধে অপহরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে এক ডজন মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পাঁচবিবি থানার ওসি মনসুর রহমান।
তিনি জানান, ক্যাসেটের অবস্থানের খবরে অভিযান চলালে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ক্যাসেট ও সঙ্গীরা। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলি চালায়। এ সময় ক্যাসেট গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও সাত রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে গেয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' ডাকাতিন মামলার এক আসামি নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার গফরগাঁও-রসুলপুর আঞ্চলিক সড়কের এ ঘটনায় নিহত মোতালেব হোসেন (৪২) একই উপজেলার রসুলপুর ছয়ানি গ্রামের প্রয়াত আব্দুল গফুরের ছেলে।
গোয়েন্দা পুলিশের পুলিশের ওসি শাহ কামাল আকনন্দ জানান, একটি ডাকাত দলের সদস্য মোতালেবের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা রয়েছে।