ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

চট্টগ্রামে সার্ভার হ্যাক করে ৫৫০ জন্মনিবন্ধন সনদ ইস্যু

চট্টগ্রামে সার্ভার হ্যাক করে ৫৫০ জন্মনিবন্ধন সনদ ইস্যু

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৪:১৬ | আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৪:১৬

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের সার্ভার হ্যাক করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পাঁচটি ওয়ার্ড থেকে ৫৫০টি সনদ ইস্যু করেছে হ্যাকাররা।

গত ১০ জানুয়ারি প্রথম হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটে। সবশেষ আজ রোববার নগরের দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডের আইডি ব্যবহার করে ৩৪১টি জন্মনিবন্ধন সনদ ইস্যু করা হয়েছে।

এসব নিবন্ধনের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও জন্মনিবন্ধন সহকারীরা। এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে আগামীকাল সোমবার বিকেলে কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক ডেকেছেন চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

হ্যাকিংয়ের শিকার ওয়ার্ডগুলো হলো- ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী, ১৩ নম্বর পাহাড়তলী, ৩২ নম্বর আন্দরকিল্লাহ, ৩৮ নম্বর দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ও ৪০ নম্বর উত্তর পতেঙ্গা। এসব ওয়ার্ডের আইডি ব্যবহার করে যথাক্রমে ৪১২টি, ১০টি, ৪টি, ৪০টি ও ৮৪টি জন্মনিবন্ধন সনদ বিভিন্নজনের নামে ইস্যু করা হয়েছে।

১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডের জন্মনিবন্ধন সহকারী রহিম উল্ল্যাহ সমকালকে বলেন, আগে এভাবে ৭১টি জন্মনিবন্ধন সনদ বের করা হয়েছিল। আজ (রোববার) সকালে সার্ভারে ঢুকে দেখি আমাদের আইডি থেকে ৩৪১টি সনদ করা হয়েছে। যেগুলোর কোনো ডকুমেন্ট আমাদের কাছে নেই।

ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, দুই দফায় হ্যাক করে জন্মনিবন্ধন সনদ বের করার ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এটি কীভাবে হচ্ছে বুঝতে পারছি না।

৩৮ নম্বর দক্ষিণ মধ্যম হালিশহরের কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী জানান, তাঁর ওয়ার্ডের আইডি থেকে ৪০টি জন্মনিবন্ধন সনদ ইস্যু করা হয়েছে। এগুলোর কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসক ও মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছেন। সেখান থেকে যেই নির্দেশনা দেবে তা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।

সিটি করপোরেশনের আইটি কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হাসান জানান, সার্ভারের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে। তাদের লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তবে এখনও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তাদের আর কিছু করার ক্ষমতা নেই। এরপরও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত্যু ও জন্মনিবন্ধন সাময়িক স্থগিত রাখা হয়েছে।

এদিকে এসব ঘটনায় জিডি করা হলেও কোনো মামলা হয়নি। স্পর্শকাতর হওয়ায় অবশ্য তদন্ত শুরু করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

এ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আসিফ মহিউদ্দীন সমকালকে বলেন, জন্মনিবন্ধন সনদ বের করে নেওয়ার বিষয়গুলো আমাদের নজরে রয়েছে। খুব সম্ভবত কেন্দ্রীয়ভাবে শক্তিশালী কোনো চক্র এর পেছনে কাজ করছে। কারা করছে সেটি বের করার চেষ্টা করছি।

আরও পড়ুন

×