টিসিবির পণ্য না পেয়ে জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে

ফাইল ছবি
শরীফ উদ্দিন সবুজ, নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৩ | ০৪:২২
প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহেই নারায়ণগঞ্জে টিসিবির পণ্য পৌঁছে যায়। তবে এবার দ্বিতীয় সপ্তাহেও পণ্য আসেনি। এ বিষয়ে জানতে ভোক্তারা ফোনে বা সরাসরি দেখা করছেন জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে। জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাঁরা টিসিবির পণ্য মাসের শুরুতে দেওয়া, কার্ডের সংখ্যা দ্বিগুণ ও স্থায়ী দোকান বসানোর সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।
নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের গলাচিপা এলাকার শিল্পী আক্তার চাকরি করে সংসার চালান। তিনি জানান, পাঁচজনের সংসার সীমিত আয়ে চলে। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় চলা কঠিন। এ জন্য তাঁরা টিসিবির পণ্যের ওপর নির্ভরশীল। প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে টিসিবির পণ্য এলেও এবার দেরি হচ্ছে। কাউন্সিলরের কাছে জিজ্ঞেস করলেও তিনি জবাব দিতে পারছেন না।
১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ জানান, প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ ভোক্তা ফোন দিচ্ছেন, অফিসে আসছেন। এবার মানুষের মধ্যে অস্থিরতা বেশি। কারণ জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। এলাকায় ৪ হাজার ৫৯৯টি কার্ড দেওয়া হলেও দ্বিগুণ দরকার। যারা কখনও কার্ডের কথা বলেননি, তাঁরাও ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকছেন। স্মার্টকার্ড এসেছে কিনা, এ বিষয়ে খোঁজ নিতেও ফোন দিচ্ছেন ভোক্তারা।
সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস একটু পরপরই ফোন ধরছিলেন। তিনি জানালেন, এ মাসে দ্বিতীয় সপ্তাহেও টিসিবির পণ্য না আসায় ভোক্তারা ফোন দিচ্ছেন। কেউ অফিসে আসছেন খোঁজ নিতে।
১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অহিদুল ইসলাম ছক্কু জানান, তাঁর এলাকায় ৪ হাজার ৬৬৫টি কার্ড দেওয়া হলেও চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট না। আগে মাসের যে কোনো পর্যায়ে টিসিবির পণ্য দিলেও কেউ খোঁজ নিত না। এখন এ পণ্যের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করছে। মাসের প্রথম সপ্তাহে পণ্য দিলে মানুষ সংসারের হিসাব ঠিকমতো করতে পারে। ওয়ার্ডভিত্তিক নির্ধারিত দোকান থাকলে ভালো হয়।
তবে শহরের বাইরে এত চাপ নেই বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যানরা। গোগনগর ইউপি চেয়ারম্যান ফজর আলী জানান, ইউএনও জানিয়েছেন আগামী সপ্তাহে পণ্য আসবে। রমজান মাসে দু’বার দেওয়া হবে। কেউ যোগাযোগ করলে তা জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, তাঁর কাছে কেউ পণ্যের ব্যাপারে খোঁজ করেননি। পণ্য এলে মাইকিং করে জানানো হবে।
জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ জানান, পণ্য কয়েকদিনের মধ্যেই এসে যাবে। জেলায় ২ লাখ ১৫ হাজার টিসিবির কার্ড থাকলেও ভুলভ্রান্তিসহ নানা কারণে ২ লাখ ৫ হাজার মানুষের মধ্যে পণ্য বিতরণ করা হয়। সিটি করপোরেশন এলাকায় চাহিদা থাকলে কার্ড বাড়িয়ে দেওয়া হবে। ওয়ার্ড পর্যায়ে স্থায়ী দোকানের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।
- বিষয় :
- টিসিবি
- জনপ্রতিনিধি
- ঢাকা
- নারায়ণগঞ্জ