চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন কি ভেঙেই যাবে খাদিজার!

বাবা-মায়ের সঙ্গে খাদিজা- সমকাল
শিবগঞ্জ ( চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:১৯
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দিনমজুর ও হতদরিদ্র বাবার সন্তান খাদিজা খাতুন। মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেলেও অর্থাভাবে তার স্বপ্ন ভাঙতে বসেছে।
উপজেলার চককীর্তি ইউনিয়নের রানীবাড়ি গ্রামের মেয়ে খাদিজা এবার রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। মেধা তালিকায় তার ক্রমিক নম্বর ১৭৮১।
দিনমজুর বাবা জালাল উদ্দিন ও মা জোছনা বেগমের সাত সন্তানের মধ্যে খাদিজা তৃতীয়। বাবা জালাল উদ্দিনের কোনো জায়গাজমি নেই। খাসজমিতে আছে বাঁশের বেড়ায় ঘেরা তিন কক্ষবিশিষ্ট ছোট্ট একটি আবাসস্থল। বাবাই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। খাদিজার বাবা বলেন, সংসার চালানোই বড় দায়। মেয়ের লেখাপড়ার খরচ তার কাছে দুঃস্বপ্ন। তবে তিনিও স্বপ্ন দেখেন, তার মেয়ে একদিন ডাক্তার হবে। ভর্তির সময় শেষে হতে চলায় সন্তানের লেখাপড়ার খরচ জোগানোর চিন্তায় তিনি হতাশাগ্রস্ত।
জালাল উদ্দিন জানান, তার মেয়ে খাদিজা খাতুন ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী। সে পিইসি পরীক্ষাসহ সব পাবলিক পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করেছে। অন্যদিকে খাদিজা খাতুন জানান, ছোটবেলা থেকে তার চিকিৎসক হওয়ার খুব ইচ্ছা ছিল। সে ইচ্ছা পূরণের জন্য তিনি অধিকাংশ সময়ই লেখাপড়ার পেছনে ব্যয় করেছেন। মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেলেও এখন পর্যন্ত তার ভর্তির ফি জোগাড় হয়নি। এ নিয়ে তিনি খুব দুশ্চিন্তায় আছেন।
অন্যদিকে রানীবাড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন সহকারী প্রধান শিক্ষক জানান, তার স্কুলের ছাত্রী খাদিজা ছিল লেখাপড়ায় অসাধারণ। সে তার বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ ৫ এবং এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। অনেক সময় টাকার অভাবে মেয়েটি ভালো কোনো পোশাকও পরে আসতে পারত না। পরিবারের কাজকর্ম সেরে সে লেখাপড়ার সুযোগ পেত।
প্রাক্তন এ শিক্ষক বলেন, লেখাপড়ার খরচ জোগানোর লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি সাহায্য সংস্থা, এনজিও বা দানশীল ব্যক্তিরা এগিয়ে এলে অথবা কেউ লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলে খাদিজার স্বপ্ন পূরণ হতো।
প্রয়োজনে খাদিজার স্বপ্ন পূরণের জন্য রকেট অ্যাকাউন্ট-০১৭৯৪৬৫৮৫৮৯৮ ও বিকাশ অ্যাকাউন্ট নম্বর-০১৭৮০৫৯৭৫৩৫-তে যে কেউ টাকা পাঠাতে পারেন বলেও জানান তিনি।
- বিষয় :
- খাদিজা খাতুন
- চিকিৎসক
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ