ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করা যশোরের সেই ছাত্রলীগ নেতাকে অব্যাহতি

যশোর অফিস
প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২৩ | ১৩:২৭ | আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৩ | ১৩:২৭
যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজ ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক নূর ইসলামকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
তার বিরুদ্ধে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত ও অপহরণচেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নূর ইসলাম দাবি করেছেন, তিনি গ্রুপিং ও ষড়যন্ত্রের শিকার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংগঠনের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় এমএম কলেজ ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক নূর ইসলামকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। একইসঙ্গে তাকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় সংসদে সুপারিশ করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস বলেন, সম্প্রতি কলেজের শেখ হাসিনা হলের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত ও এক শিক্ষার্থীকে অপহরণচেষ্টার ঘটনায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এরপর কেন্দ্রীয় সভাপতি-সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা করে নূর ইসলামকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তাকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশও করেছেন বলে জানান তিনি।
শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নূর ইসলামের নেতৃত্বে বহিরাগত ও অছাত্ররা শহীদ আসাদ হলে থাকেন। তারা হলের মেয়েদের ইভটিজিং করেন। গভীর রাতের ছাত্রীদের নাম ধরে ডাকেন, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এভাবে উত্ত্যক্তের পাশাপাশি হলের ফটকের সামনে রাতে দাঁড়িয়ে থাকেন ও ধূমপান করেন।
এমনকি আসাদ হলের পাশ দিয়ে মেয়েরা গেলেও কটূ কথা বলে উত্ত্যক্ত করেন। এ বিষয়ে গত ৩১ জানুয়ারি অধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া গত ২১ জানুয়ারি নূর ইসলামের নেতৃত্বে ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়। পরে পুলিশের সহায়তায় তিনি বাড়িতে ফেরেন।
এ বিষয়ে নূর ইসলাম বলেন, জেলা ছাত্রলীগের গ্রুপিংয়ের বলি করে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তিনি নিজেকে স্থানীয় এমপি কাজী নাবিল আহমেদের অনুসারী উল্লেখ করে বলেন, যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন, তারা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের অনুসারী।