ঢাকা বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ

ইউএনওর অপসারণ চান জীবননগরের মুক্তিযোদ্ধারা

ইউএনওর অপসারণ চান জীবননগরের মুক্তিযোদ্ধারা

চুয়াডাঙ্গা ও জীবননগর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৩ | ১৮:০০

অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রোকুনুজ্জামানের অপসারণ দাবি করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ভবনে শান্তি সমাবেশে এই দাবি জানান তাঁরা।

 মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোর্তুজা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যয়নপত্র দিতে দেরি করেন ইউএনও। সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে তিনি ভালোভাবে কথা বলেন না। আমরা অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সহযোগিতার জন্য গ্রামীণ মেলার আয়োজন করেছিলাম। সেখানে গ্রামীণ যাত্রা ও লটারির আয়োজন করা হয়। এতে মৌখিকভাবে অনুমোদন দিয়েছিলেন জেলা প্রশাসক। কারণ যাত্রা ও লটারির জন্য লিখিত অনুমোদন দেওয়া যায় না। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বাসস্ট্যান্ডে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে লটারির টিকিট পুড়িয়ে দেন ইউএনও। গতকাল অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলে কর্মসূচি স্থগিত করেন তাঁরা।

সাবেক উপজেলা ডেপুটি কমান্ডার দলিল উদ্দীন দলু বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে ইউএনও রোকুনুজ্জামানকে বদলি করা না হলে রাজপথে নামবেন মুক্তিযোদ্ধারা।

তবে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সাইদুর রহমান বলেন, মেলা আয়োজনের সভায় ইউএনওকে ডাকা হয়নি। লটারির টিকিট পোড়ানো নিয়েই মূলত তাঁর সঙ্গে ঝামেলার শুরু। ইউএনও বদলির বিষয়ে একমত নন সাইদুর রহমান। ইউএনও রোকুনুজ্জামান বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হয়। কাকে প্রত্যয়নপত্র দিতে দেরি করেছি, তাঁরা সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেননি।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর মেলা অনুমোদনের জন্য কমপক্ষে ২৫টি শর্ত থাকে। এর মধ্যে র‍্যাফেল ড্র, জুয়া ও মদসহ কিছু বিষয় নিষিদ্ধ। সেখানে অনুমতি ছাড়া র‍্যাফেল ড্র আয়োজন করা হয়েছিল। মৌখিকভাবে এটি অনুমোদন দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছিলেন ইউএনও। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে বসে বিষয়টি সমাধান করা হবে।

আরও পড়ুন

×