কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
-samakal-সমকাল-5e33f2e7da3e6-samakal-63eefe50590ca-samakal-641869b292fd0-(1)-samakal-641d45c4c0818-samakal-643004ccdcdc9.jpg "কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু")
প্রতীকী ছবি
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৩ | ১১:৫৫ | আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৩ | ১১:৫৫
টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত লাল মিয়া (৩৮) নামের এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
লাল মিয়া বাসাইল উপজেলার খাটোরা গ্রামের নাসিম উদ্দিনের ছেলে।
টাঙ্গাইলের জেলার আবদুল্লাহ ইবনে তোফাজ্জাল হোসেন খান জানান, লাল মিয়া অ্যাজমাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
২০১০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বাসাইলের কাউলজানী গ্রামের আবু বক্কর ভূঁইয়ার ছেলে মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া নিখোঁজ হন। তিনদিন পর পাশের মহেশখালী গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর নিহতের বাবা আবু বক্কর ভূঁইয়া বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। তদন্তে এ হত্যার সঙ্গে মনিরুজ্জামানের ভায়রা রেজাউল ইসলাম, তার স্ত্রী আলো বেগমসহ বাসাইল উপজেলার খাটোরা গ্রামের নাসিম উদ্দিনের ছেলে লাল মিয়া, যশিহাটি গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রেজভী ও দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল গ্রামের ফজল মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেনের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। ২০১১ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে গত বছরের ৮ জুন ভায়রা রেজাউল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড এবং তার স্ত্রী আলো বেগম ও লাল মিয়াসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাসুদ পারভেজ। ওই রায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তখন থেকেই লাল মিয়া কারাগারে ছিলেন।
- বিষয় :
- সাজাপ্রাপ্ত আসামি
- মৃত্যু
- টাঙ্গাইল
- ঢাকা
