ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

ঈশ্বরদীতে এ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.০২ ডিগ্রি

ঈশ্বরদীতে এ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.০২ ডিগ্রি

ফাইল ছবি সমকাল

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৩ | ০৯:৫৮ | আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৩ | ১০:০০

পাবনার ঈশ্বরদীতে তাপদাহের পারদ প্রতিদিনই বাড়ছে। প্রচণ্ড গরম ও দাবদাহের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রাও। শনিবার ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১.০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ বছরে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

আবহাওয়া অফিস বলছে, ঈশ্বরদীতে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরম, রোদ্রের তীব্রতা ও ভ্যাপসা গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত। গরমে শিশু ও বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এদিকে ঈশ্বরদীর অন্যতম অর্থকরী ফল লিচুর ফলন এই তাপদাহে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ।

জানা গেছে, প্রচণ্ড তাপদাহ ও চৈত্রের খরায় প্রতিদিন গাছ থেকে ঝরে পড়ছে অপরিপক্ক লিচুর গুটি। প্রাকৃতিক কারণেই এবার লিচুর জন্য বৈরি সময়। লিচু নিয়ে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ঈশ্বরদীর লিচু চাষিরা। কৃষকরা জানান, যখন মুকুল থেকে লিচু গুটি হয়ে উঠেছে তখন প্রচণ্ড গরমে লিচুর গুটি ঝরে পড়তে শুরু করেছে।

কৃষক ও কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, প্রতিবছর ৪ থেকে ৫০০ কোটি টাকার লিচুর উৎপাদন হয় শুধু ঈশ্বরদীতে। এবার গাছে গাছে মুকুল কম এসেছে। আবার গুটি ঝরে পড়া শুরু হওয়ায় বিরূপ পরিস্থিতিতে ‘আদুরে ফল লিচুর উৎপাদন নিয়ে রীতিমতো শঙ্কায় পড়েছেন এই এলাকার লিচু আবাদী কৃষকরা।

ঈশ্বরদীর সাহাপুর গ্রামের লিচু চাষী আমিরুল ইসলাম সরদার জানান, তাপদাহে গাছ থেকে কাঁচা লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে প্রতিদিন।

ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এ বছর ঈশ্বরদীতে ৩১০০ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। গাছের সংখ্যা ৫ লাখেরও বেশি। কিন্তু গত বছরের তুলনায় অর্ধেকেরও কম লিচু উৎপাদন হবে বলে ধারণা করছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা।

ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি অফিসার মিতা সরকার জানান, আমাদের হিসেব অনুযায়ী শতকরা ৪০ ভাগ গাছে এবার মুকুল আসেনি। এখন গরমে ও খরায় লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে। ফলে লিচুর ফলন গতবারের চেয়ে কম হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

 

আরও পড়ুন

×