ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

গরমে চাহিদা বাড়তেই চার্জার লাইট-ফ্যানের দামে আগুন

গরমে চাহিদা বাড়তেই চার্জার লাইট-ফ্যানের দামে আগুন

মুন্সীগঞ্জ শহরের পৌর মার্কেটে বুধবার একটি দোকানে চার্জার ফ্যান কিনছেন ক্রেতা- সমকাল

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৩ | ১৮:০০

তাপদাহের মধ্যে লোডশেডিং বাড়ায় মুন্সীগঞ্জের ক্রেতারা ঝুঁকেছেন চার্জার লাইট ও ফ্যানের দিকে। এ সুযোগে পণ্য দুটির দাম বাড়ছে হুহু করে। মাস ছয়েক আগে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হতো যে ফ্যান, গতকাল বুধবার শহরের ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকানে তা ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। ক্রেতারা এ জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দায়ী করলেও তাঁরা আমদানিকারকদের ওপর দায় চাপিয়েছেন।


শহরের পৌর মার্কেটে অন্য যে কোনো দোকানের তুলনায় ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকানে ভিড় ছিল বেশি। সদরের আধারা ইউনিয়নের বাসিন্দা সেলিম মিয়া বুধবার এসেছিলেন একটি চার্জার ফ্যান কিনতে। তিনি বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমে শিশুরা নাজেহাল। তাই চীনা চার্জার ফ্যান কিনতে এসে দেখি দাম অনেক বেশি।’


শহরের হাটলক্ষ্মীগঞ্জের বাসিন্দা সেলিনা বেগম বলেন, ‘প্রতিদিনই লোডশেডিং। এর মধ্যে অনেক গরম। ঘরে থাকতে খুব কষ্ট হয়। এ জন্য ফ্যান ও লাইট কিনতে এসেছি। কিন্তু দাম একটু বেশি। তারপরও কিনতে হবে।’


আকারভেদে চার্জার ফ্যান ৭০০ থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে। চার্জার লাইটের মানভেদে বিভিন্ন দাম হাঁকছেন দোকানিরা। বাধ্য হয়ে সেই দামেই কিনতে হচ্ছে বলে জানান সাকিব নামের এক ক্রেতা। তিনি বললেন, ‘ঘরে থাকতে চার্জার ফ্যানের বিকল্প নেই। এ জন্য চার্জার ফ্যান কিনতে আসছি। এ গরমে বেঁচে তো থাকতে হবে।’
ক্রেতারা দাম বাড়ানোর জন্য ইলেকট্রনিকস ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মুনাফার লোভকে দায়ী করছেন। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাধ্য হয়ে তাঁদের বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
বিক্রমপুর ইলেকট্রনিকসের কর্ণধার মো. জাকির হোসেন বলেন, কয়েক দিন ধরে এসব পণ্য বিক্রি বেড়েছে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম একটু বেশিই। তবে এ ব্যবসায়ী দাবি করেন, বড় পণ্যের দাম বাড়লেও ছোট ছোট পণ্যের দাম তেমন বাড়েনি।


তবে কয়েকটি দোকানে খোঁজ নিয়ে ভিন্ন তথ্য মিলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, চার্জারজাতীয় প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। প্রতিদিনই দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন আমদানিকারকরা। তিনি বলেন, দুই সপ্তাহে কোনো কোনো পণ্যের দাম ১ হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। চীনা একটা চার্জার ফ্যান ছয় মাস আগে ছিল ৩ হাজার টাকা, সেটি ৪ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন। ১৬ ইঞ্চি ফ্যানের দাম এখন ৬ হাজার ৯০০ থেকে ৭ হাজার টাকা।


এ জন্য আমদানিকারকদের দায়ী করেন পৌর মার্কেটের বিসমিল্লাহ ইলেকট্রনিকসের প্রোপাইটর এমএ আবুল বাসারও। তিনি বলেন, তীব্র গরমে চীনের তৈরি এসব পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। পাঁচ কার্টন চাইলে আমদানিকারকরা তা-ই দিতেন। এখন পাঁচ কার্টন চাইলে এক কার্টন দেন। বেশি দাম দিয়েও চার্জার পাওয়া যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন

×