ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা সেতু পার

বুড়িচংয়ের সেই ভাঙা সেতু- সমকাল
কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৩ | ১৮:০০
প্রায় চার বছর আগে সেতুর মাঝের অংশ ভেঙে গেছে। কাঠের পাটাতন দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে পথচারী ও রিকশা। রাতে প্রায়ই সেতুটির ভাঙা জায়গায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে লোকজন। সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও ভারী যানবাহন চলাচল দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। ভাঙা সেতুটি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পাঁচোড়া-বারেশ্বর-লড়িবাগ সড়কে।
স্থানীয়রা জানান, সেতুর মাঝের অংশ ভেঙে পড়ার কারণে বিপাকে পড়েছে লড়িবাগ, বারেশ্বর, পাচোঁড়া, চড়ানল, নবীয়াবাদ, শংকুচাইল, হায়দ্রাবাদ রাজাপুর ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার হরিমঙ্গল, শশীদল, নাইঘর, তেঁতাভুমি, সেনের বাজার ও বেগমাবাদ গ্রামের বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা রমিজ উদ্দিন জানান, সেতুটির ওপর দিয়ে প্রতিদিন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ হাজারো মানুষ যানবাহনে যাতায়াত করত। কিন্তু চার বছর ধরে সেতুটির ঢালাইয়ের একাংশ খসে পড়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। তাঁর দাবি, রাজাপুর রেলস্টেশনের উত্তর পাশের ভাঙা সেতুটির মেরামত করতে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে বারবার আবেদন করা হলেও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।
একাধিকবার সেতুটি অস্থায়ীভাবে মেরামত করেন স্থানীয়রা।
রাজাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাসেম বলেন, ১৯৯১ সালে সেতুটি নির্মাণ করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তর। চার বছর আগে সেতুটির মাঝের অংশে ভাঙন শুরু হয়। ক্রমে ভাঙা অংশ বড় হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরই মধ্যে পিআইও অফিস থেকে সেতুর পরিমাপসহ মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু সেতুটি মেরামত কিংবা নতুন করে নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি।
উপজেলা প্রকৌশলী আলিফ আহাম্মদ অক্ষর জানান, সেতুটি তাদের প্রকল্প নয়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তরের প্রকল্প। তারা সেতুটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণের চেষ্টা করছে বলে শুনেছেন তিনি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাইদুল মোর্শেদ মুরাদ বলেন, সেতুটি মেরামতের অনুপযোগী। নতুন সেতু নির্মাণে পরিমাপসহ মাটি পরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
- বিষয় :
- সেতু
- ঝুঁকিপূর্ণ সেতু