সেতুর কাজ ফেলে লাপাত্তা ঠিকাদার

নালিতাবাড়ী উপজেলার কুত্তামারা এলাকায় হরেখালী সেতুর কাজ বন্ধ দীর্ঘদিন
নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ০৫ মে ২০২৩ | ১০:৪৪
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে জানা গেছে, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবিতে যোগানিয়া কুত্তামারা নদীর ওপর ২০২০ সালের ৩০ জুলাই ৭২ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণকাজ শুরু হয়। ৪ কোটি ৮৩ লাখ ৪২ হাজার ৬০০ টাকার কাজটি পায় ‘মেসার্স আকরাম কন্ট্রাকশন’ নামের শেরপুরের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সরেজমিন দেখা গেছে, যোগানিয়া কুত্তামারা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য দুই পাড়ে দুটি পাকা ভিত ও নদীর মাঝখানে দুটি ‘পায়ার ক্যাপ’ নির্মাণ করে রাখা হয়েছে। আর কোনো কাজ হয়নি। দীর্ঘ সময় নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় সেতুটির পূর্ব পাশে খড়ের ঢিঁবি দিয়ে রেখেছে স্থানীয়রা।
নির্মাণাধীন সেতুটির পাশেই একটি অস্থায়ী লোহার সেতু রয়েছে, যেটি ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিদিন অটোরিকশা ও ভ্যান চলাচল করায় লোহার সেতুটিও নড়বড়ে হয়ে গেছে। কিছু কিছু স্থানে জং ধরে ফুটো হয়ে আছে। এ অবস্থায় হরেখালী সেতুর কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সাবেক ইউপি সদস্য আ. রশিদের দাবি, হরেখালী সেতুর কাজ শেষ না হওয়ায় পাশের ঝুঁকিপূর্ণ লোহার সেতু দিয়ে কৃষিপণ্য নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে আশপাশের গ্রামের কৃষকদের।
কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা সফিক মিয়া, সাইফুল ইসলাম নবী হোসেন ও কাজীমদ্দিনের সঙ্গে। তাদের ভাষ্য, এ সেতু দিয়ে গয়রাকুড়া, ঘোড়ামারা, দিকপাড়া, পোড়াবাড়ী, ধান্নাবাড়ী ও বাথুরকান্দা গ্রামের লোকজন যাতায়াত করেন। এখন সেতু না থাকায় লোহার নড়বড়ে সেতু দিয়ে পার হতে হয়। লোহার নড়বড়ে সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারে না।
কুত্তামারা এলাকার সফিজুল ইসলাম বলেন, চার– পাঁচটি গ্রামের মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম হচ্ছে এই সেতু। এখন শুষ্ক মৌসুম, সেতুর কাজ করার উপযুক্ত সময়। আর কিছু দিন পরই বর্ষাকাল, তখন কাজ করা কঠিন। এখন সেতুর কাজ শেষ না হলে আরও বেশি দুর্ভোগে পড়ার আশঙ্কা তাদের।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ঠিকাদার আকরাম হোসেনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এলজিইডির উপজেলা কার্যালয়ের প্রকৌশলী রাকিবুল আলম রাকিব জানান, সেতুর কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে আবারও সময় নিয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দ্রুত কাজ শেষ করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
- বিষয় :
- সেতু নির্মাণ
- ঠিকাদার
- লাপাত্তা