পল্লী বিদ্যুতের ভূতুড়ে বিলে দিশেহারা গ্রাহক

প্রতীকী ছবি
কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৩ | ১৮:০০
কলারোয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভূতুড়ে বিলে দিশেহারা গ্রাহকরা। মার্চের তুলনায় এপ্রিল মাসে বিদ্যুৎ বিল দুই থেকে দিন গুণ বেশি এসেছে অভিযোগ গ্রাহকদের। এতে ২০ লক্ষাধিক টাকা অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে।
পৌর সদরের ১ নম্বর তুলসীডাঙ্গা ওয়ার্ডের সিরাজুল ইসলামের মার্চ মাসে ৮০ ইউনিট ব্যবহার হয়। মোট ৪৬৪ টাকা পরিশোধ করেন তিনি। এপ্রিলে তাঁর বিলে ২৩৫ ইউনিট ব্যবহার দেখানো হয়েছে। এ বিলে ১ হাজার ৫৯২ টাকা পরিশোধ করতে হবে তাঁকে।
সিরাজুল ইসলামের ভাষ্য, ২ মে পর্যন্ত তাঁর মিটারে ২৪ দিনে বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়েছে ৩৪ ইউনিট। তাঁর বাড়ির ছয়টি মিটারে একইভাবে বিল দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস। একই এলাকার গ্রাহক সামসুন্নাহারের মার্চে বিল ৪১৬ টাকা। এপ্রিলে বিল ১ হাজার ৭৩৮ টাকা বলে জানিয়েছেন তিনি।
২ নম্বর ওয়ার্ডের কেএম আনিছুর রহমানের মার্চ মাসের বিল ১৭৫ ইউনিট, এপ্রিল মাসে ৩২৫ ইউনিট। ২ মে পর্যন্ত ওই মিটারে বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়েছে ৬০ ইউনিট। এভাবে তাঁর বাড়ির ৮টি মিটারে দুই থেকে তিন গুণ বেশি বিল হয়েছে।
কলারোয়া বাজারের বাণিজ্যিক গ্রাহক রনির মার্চে বিল ১ হাজার ৪৩৫ টাকা, এপ্রিলে বিল ২ হাজার ৮৪৫ টাকা। গদখালী গ্রামের মোজাহিদের মার্চে বিল ৫৪৬ টাকা এপ্রিলে বিল ১ হাজার ৮২৫ টাকা। উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের মিলনের মার্চে বিল ৪১৮ টাকা, এপ্রিলে বিল ১ হাজার ৪২৮ টাকা।
উপজেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক কাজী আব্দুল্লাহ আল হাবিব বলেন, ভুলবশত নয়, পল্লী বিদ্যুৎ ইচ্ছা করে এই কাজটা করেছে। যাঁরা দিনমজুর, তাঁরা এই বিল কীভাবে পরিশোধ করবেন?
কলারোয়া জোনাল অফিসের বিল প্রস্তুতকারক সুফিয়া খাতুন জানান, ঈদের আগে মিটার রিডিং লেখা হয়নি। নির্ধারিত দিন ছাড়া ২২ দিন পরে মিটার রিডিং করা হয়েছে। মিটার রিডিং যাঁরা লেখেন, তাঁরা ঈদের ছুটিতে যাওয়ার কারণে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। পরবর্তী মাসে ঠিক হয়ে যাবে।
সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম জিয়াউর রহমান বলেন, ‘মার্চ মাসে গরমের কারণে বিদ্যুৎ বেশি ব্যবহার হয়েছে। ফলে মিটার রিডিং বেশি উঠছে।’
- বিষয় :
- কলারোয়া
- পল্লী বিদ্যুত
- ভূতুড়ে বিল