বাবার পাল্টা মামলায় মা ও চেয়ারম্যান আসামি

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৩ | ১৮:০০
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় কিশোরী লামিয়া আক্তার মুন্নিকে (১৫) হত্যার ঘটনায় আদালতে আরেকটি মামলা হয়েছে। কিশোরীর বাবা মোশারেফ হোসেন ঘটনার ৪৩ দিন পর গত ৩ মে মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন। এতে তাঁর সাবেক স্ত্রী (কিশোরীর মা) ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
মোশারেফের দাবি, মায়ের মামলায় প্রকৃত আসামিদের বাদ দেওয়া হয়েছে। এজন্য তিনি সাবেক স্ত্রী ও চেয়ারম্যানকে দায়ী করে মামলাটি করেছেন। মুন্নির লাশ হাসপাতালে ফেলে আসার অভিযোগও করেছেন তিনি।
এর আগে মেয়ে হত্যার তিন দিন পর শাহিদা বেগম গত ২৩ মার্চ মুন্নির স্বামী, শ্বশুর, দুলাল ও ছগিরের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত দু’তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় বলা হয়েছে, পাঁচ বছর আগে বিচ্ছেদের পর মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকেন তিনি। দু’মাস আগে মেয়ের সঙ্গে হাসান প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে করে। কিছুদিন পর মেয়ের জামাই ও শ্বশুর ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। ওমানে থাকাকালীন আয়ের টাকা দেওয়ার জন্য মুন্নিকে মারধর করত।
গত ২০ মার্চ ফের টাকা দাবি করে হাসান ও তার বাবাসহ অন্যরা বাড়ির কক্ষে আটকে মুন্নিকে মারধর করে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর মুখে বিষ ঢেলে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। পুলিশ আসামি শহীদুলকে গ্রেপ্তার করলেও অন্যরা পলাতক। মোশারেফ তাঁর মামলায় অভিযোগ করেন– চেয়ারম্যান রফিকুল নেপথ্যে থেকে তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটিয়েছে। তিনি ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় বাস করেন।
এ বিষয়ে শাহিদা বেগম বলেন, ‘মোশারেফ আমার জীবন শেষ করেছে। আমি যাতে মেয়ে হত্যার বিচার না পাই, এজন্য আমাকে আসামি করে ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে।’ ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার বলেন, নির্যাতিতা মেয়েকে সাহায্য করায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ইন্ধনে তাঁকে হয়রানির জন্য আসামি করা হয়েছে।
- বিষয় :
- মঠবাড়িয়া
- কিশোরী মুন্নি হত্যা