ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

আনসার সদস্য প্রত্যাহার নিয়ে সিসিক মেয়র বললেন

কতিপয় কর্মকর্তার কর্মকাণ্ডে সরকারও বিব্রত

কতিপয় কর্মকর্তার কর্মকাণ্ডে সরকারও বিব্রত

মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী - ফাইল ছবি

সিলেট ব্যুরো

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৩ | ১৬:২৭ | আপডেট: ১৭ মে ২০২৩ | ১৬:২৮

হঠাৎ করে নিজ বাসার নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যদের প্রত্যাহারের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। বাসার নিরাপত্তা-সদস্যদের সরকারের নির্দেশনায় প্রত্যাহার করা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, এই বাহিনীর অতি উৎসাহী কিছু কর্মকর্তার পক্ষ থেকে এটি করা হয়েছে। প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তার কর্মকাণ্ড সরকারকেও বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিচ্ছে। 

মেয়র বলেন, ‘আমি দেখছি, আমাকে নগরবাসী থেকে দূরে রাখার সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে। এটি করে আমাকে হুমকির মুখে ফেলা হলেও জনগণ থেকে কোনোভাবেই দূরে রাখা যাবে না।’

মঙ্গলবার রাতে বাসার নিরাপত্তায় থাকা আনসার সদস্যদের প্রত্যাহারের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিকেলে নগরভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মেয়র আরিফ। তিনি প্রশ্ন রাখেন, বাসায় যদি এভাবে নিরাপত্তা দেওয়া আইনসিদ্ধ না হয় তবে ৬ বছর তাঁরা কোথায় ছিলেন।

মেয়র বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ করে তাঁর বাসার নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকা ৬ আনসার সদস্যকে সরিয়ে নেন সিলেটে নতুন যোগদান করা আনসার ও ভিডিপি কমান্ডার। মৌখিক বা লিখিত কোনোভাবেই তাঁকে বা সিসিকের কাউকে কিছু জানানো হয়নি। ছয় বছর ধরে মাসিক বেতনের বিনিময়ে আনসার বাহিনীর ২৪ সদস্যকে নগরভবন ও তাঁর (মেয়রের) বাসার অফিসসহ সিসিকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় নিয়োজিত রাখা হয়েছে।

তিনি সংবাদ সম্মেলনে জানান, প্রথম মেয়াদে মেয়র থাকাকালীন তাঁকে সরকার থেকে দু’জন গানম্যান দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরের মেয়াদে তাদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এরপর নগরবাসীর ট্যাক্সের টাকায় মাসিক চুক্তিতে আনসার বাহিনীর ২৪ জন সদস্যকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য নিয়ে আসা হয়। শিডিউল করে সিসিকের পানি শোধনাগার ও বিভিন্ন গাড়ি ও মেশিন রাখার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা দিয়ে আসছেন তাঁরা। তাদের মধ্যে থেকে ৬ জনকে তাঁর বাসা ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় নিয়োজিত রাখা হয়েছিল। তাদের প্রত্যাহার করে নেওয়ায় প্রচণ্ড নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি। তাঁর বাসাসংলগ্ন অফিসে রাখা সিসিকের লাখ লাখ টাকার মালপত্র এখন অনিরাপদ।

সিসিক নির্বাচন সামনে রেখে তাঁকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘সম্প্রতি আমি মহানগরের যেখানে যাচ্ছি এবং আমার সঙ্গে যাঁরা ছবি তুলছেন, দেখা যাচ্ছে রাতে তাদের পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। কাউকে রিমান্ডে পর্যন্ত নিচ্ছে। আমি তো জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি। প্রশাসনের অতি উৎসাহী কিছুসংখ্যক কর্মকর্তা একজন জনপ্রতিনিধিকে কীভাবে মূল্যায়ন করতে হয় সেটিও সম্ভবত ভুলে গেছেন।’

সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলার পর মেয়র আরিফ সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ভবনের দেওয়ালে ফাটল ও বিভিন্ন ত্রুটির বিষয় তুলে ধরে বলেন, নকশাটি করেছিল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচার বিভাগ এবং এসজিএমপি। তাদের বিষয়টি অবগত করা হয়েছে এবং ত্রুটি মেরামতের লক্ষ্যে নকশাটি সংশোধন করে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন

×