মাটি সরে যাওয়ায় ঝুঁকিতে গাজীখালী নদীর সেতু

সাটুরিয়ার গাজীখালী নদীর ওপর নির্মিত সেতুর পিলারের নিচের মাটি সরে গেছে - সমকাল
সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ২০ মে ২০২৩ | ০৪:৩২
জানা গেছে, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গাজীখালী নদীর ওপর ১০০ মিটার সেতু নির্মাণ করা হয় ২০১০-১১ অর্থবছরে। এতে ব্যয় হয় ২ কোটি ৯৬ হাজার টাকা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সেতুর পিলারের নিচ থেকে মাটি উত্তোলন করেছে একটি চক্র। এতে তিন নম্বর পিলারের মাটি সরে গিয়ে পাইলিং বের হয়ে গেছে। মূল পাইলিং অংশের মাটি সরে গেছে ছয় থেকে আট ফুট। পাশাপাশি গত বর্ষা মৌসুমে সেতুর নিচে স্রোত ও ঘূর্ণিপাক বেশি হওয়ায় মাটি সরে গিয়ে কুমের (গর্ত) সৃষ্টি হয়েছে।
সেতুসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা মো. হাসমত আলী জানান, গত বছর সেতুর নিচে স্রোত বেশি হয়ে ঘূর্ণিপাকের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া প্রতি বছর ড্রেজার বসিয়ে মাটি ও বালু তোলা হচ্ছে। এতে পিলারের পাশের মাটি সরে গিয়ে পাইলিং বের হয়ে গেছে। এক বছর আগে মাটি সরে গেলেও কর্তৃপক্ষ সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ গ্রামের মানুষ চলাচল করে। মানিকগঞ্জ জেলার সঙ্গে একমাত্র এ সেতু দিয়ে এলাকার মানুষের যাতায়াতের ব্যবস্থা রয়েছে। পিলারের মাটি সরে যাওয়ায় বড় যানবাহন উঠলে সেতু কেঁপে ওঠে বলে জানিয়েছেন চালকরা।
ছাহেরা বেগম বলেন, সেতুর পিলারের নিচ থেকে মাটি তোলা হয়েছিল। সে কারণে বর্ষার পানি এলে ঘূর্ণি স্রোতের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় দরগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলিনুর বকস রতন বলেন, জেলার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যমে সেতুটি। এটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ৩০ গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাবে। যারা মাটি লুটে নিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
উপজেলা প্রকৌশল মো. নাজমুল করিম বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। কী কারণে মাটি সরেছে, দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
- বিষয় :
- সেতু
- মাটি
- ঝুঁকি
- গাজীখালী নদী
- সাটুরিয়া