তারাকান্দা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
ভোটগ্রহণে অনিয়মের অভিযোগ এনে ফেসবুক লাইভে আ. লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী

আ. লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুজ্জামান সরকার বকুল। ছবি-ফেসবুক লাইভ থেকে সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ
প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৩ | ০৯:৫২ | আপডেট: ১২ জুন ২০২৩ | ০৯:৫২
ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে। নির্বাচনে ভোটগ্রহণে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে ফেসবুকে লাইভ করেন আ. লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুজ্জামান সরকার বকুল। সোমবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে তিনি নানা অভিযোগ করেন।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুজ্জামান সরকার বকুল অভিযোগ করেন, ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের কারণে, রাগের মাথায় ফেসবুক লাইভে ভোট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিলাম। বারবার প্রশাসনকে জানানোর পরও প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না। আপনারা সবাই কেন্দ্রে আসেন, ভোট দেন। ভোট দিয়ে যেভাবেই হোক এই দুঃশাসন থেকে তারাকান্দাকে মুক্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, বানিহালা ইউনিয়নের লাউটিয়াতে আমাদের এজেন্টদেরকে বের করে দেওয়া হয়েছে। বানিহালার বটতলা কেন্দ্র থেকে আমাদের সকল এজেন্টদেরকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এরকম করে তারা যখন অনিয়ম করছে আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা চাইছি, কিন্তু তারা আমাদেরকে সহযোগিতা করতে গড়িমসি করছে। এজন্য আমি বলেছিলাম নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেবো। কিন্তু তারা যখন একথা শুনেনি তাই আপনারা যে যেখানে আছেন ভোটকেন্দ্রে আসুন, ভোট কেন্দ্রে ভোট দেন। আজকে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে এই ভোট চোরদের বিরুদ্ধে আপনাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
নুরুজ্জামান আরও অভিযোগ করেন, আমরা কামারিয়া কেন্দ্রে দেখেছি গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী যেখানে ভোট দেন সেখানে আমাদের কাগজপত্র নিয়ে ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। প্রশাসনের কাছে বিচার চেয়েও পাইনি।
তবে তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীর সবগুলো অভিযোগ তাৎক্ষণিক শুনে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হয়। কিন্তু কোন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
২০১৩ সালে তারাকান্দা উপজেলা পরিষদ ঘোষণা হলে সেখানে প্রথম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন বর্তমান গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। মোট ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত উপজেলাটিতে সোমাবার ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
এ উপজেলাটিতে মোট ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৫৯ হাজার ৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৩২ হাজার ৫৫০ জন এবং নারী ১ লাখ ২৬ হাজার ৪৫৪ জন। মোট ১০৪টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলাটির কোনো ভোট কেন্দ্রেকে ঝুঁকিপূর্ণ বা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বলছে না প্রশাসন। তবে ৩৬টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এতে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান ফজলুল হক, আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী নুরুজ্জামান সরকার বকুল, জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এ মাসুদ তালুকদার, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম মন্ডল। ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে দু’জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।