গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, দ্বিতীয় স্বামী আটক

মাগুরায় গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে মাগুরা সদরের সাজিয়াড়া এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের দ্বিতীয় স্বামী শাকিল আহম্মেদকে আটক করেছে পুলিশ। 

নিহত গৃহবধূর নাম লিমা খাতুন (২৫)। তিনি মাগুরা সদর উপজেলার বারাশিয়া গ্রামের মো. মনিরুজ্জামানের মেয়ে। 

মাগুরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সাইফুল ইসলাম জানান, পুলিশ খবর পেয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মরদেহ ময়নাতদন্তের মাগুরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সন্দেহভাজন হিসেবে লিমার দ্বিতীয় স্বামী শাকিল আহম্মেদকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি। 

নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে সাজিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা আবু তহুর মোল্লার ছেলে মো. শাকিল আহম্মেদের বাড়ির পাশে একটি গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় লিমার মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে জানানো হয়।  

নিহত লিমার মা রহিমা খাতুন জানান, ১২ বছর আগে শ্রীপুর উপজেলার বাখেরা গ্রামের বাসিন্দা সাজেদুল ইসলাম স্বপনের সঙ্গে লিমার বিয়ে হয়। স্বপন পুলিশের কনস্টেবল। তাদের ৯ বছরের একটি ছেলে ও ২ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। স্বপনের সংসার থাকা অবস্থায় লিমা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু তহুর মোল্লার ছেলে শাকিল আহম্মেদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তারা বিয়েও করেন। তবে চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি লিমাকে তালাক নোটিশ পাঠান দ্বিতীয় স্বামী শাকিল। 

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ৯ জুন লিমাকে শাকিল তাঁর বাড়িতে ডেকে মারধর করেন। খবর পেয়ে মেয়েকে উদ্ধার করতে গেলে আমাকেও মারধোর করা হয়। বৃহস্পতিবার লিমাকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে খুন করে মরদেহ গাছের ডালে ঝুলিয়ে রেখেছে শাকিল ও তার পরিবারের লোকজন। 

তবে শাকিলের মা কনিকা আক্তার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বৃহস্পতিবার লিমা গভীর রাতে আমাদের বাড়ি আসে। সে ডাকাডাকি করলেও আমরা সাড়া দেইনি। সকালে বাড়ির পাশে একটি গাছে ডালে আমরা ও এলাকাবাসী তার মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেই। 

নিহতের স্বামী পুলিশ কনস্টেবল সাজেদুল ইসলাম স্বপন শুক্রবার মোবাইল ফোনে জানান, গত ৯ জুন লিমা আমার বাসা (কোটচাদপুর) থেকে বের হন। আজ সকালে তার মৃত্যুর খবর পেয়েছি।