ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

রাস্তায় বের হলেই উত্ত্যক্ত, স্কুলে যাওয়া বন্ধ তরুণীর

রাস্তায় বের হলেই উত্ত্যক্ত, স্কুলে যাওয়া বন্ধ তরুণীর

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ২০ জুন ২০২৩ | ০৫:৩৩

রাস্তায় বের হলেই উত্ত্যক্তের শিকার হতে হয় দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে। ফলে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে ভুক্তভোগী। এ অবস্থায় পড়ালেখা বন্ধের উপক্রম তার। থানায় অভিযোগ দিলেও থামেনি উত্ত্যক্তের ঘটনা। এ ঘটনা পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের।

অভিযোগ রয়েছে, ধাক্কামারা ইউনিয়নের টেংগনমারী এলাকার হৃদয় হোসেন (২২) দীর্ঘদিন উত্যক্ত করে আসছে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে। মেয়েটি রাস্তায় বের হলেই বিরক্ত করে হৃদয়। প্রায় ছয় মাস আগে একদিন ওই শিক্ষার্থীর মা-বাবা কাজে গেলে বাড়িতে ঢুকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায় অভিযুক্ত যুবক। মেয়েটি চিৎকার করলে পালিয়ে যায় হৃদয়। এ ঘটনায় পঞ্চগড় সদর থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়।

অভিযোগ অনুযায়ী দু’পক্ষকে নিয়ে থানায় বসে সালিশ করে অভিযুক্ত যুবককে ধাক্কামারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের জিম্মায় দেওয়া হয়। বলা হয়, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এরপর কিছুদিন থেমে ছিল তার উৎপাত। গত ২৪ মে হৃদয় তার বন্ধুদের নিয়ে আবারও মেয়েটির শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায় এবং এর ভিডিও ধারণ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে পালিয়ে যায় তারা। বিষয়টি জানাজানি হলে গত ১ জুন পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা করেন মেয়েটির বাবা। মামলার পর হুমকি-ধমকি আরও বেড়ে গেছে। ভয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগীর ভাষ্য, ‘হৃদয় তার বন্ধু সুজনসহ কয়েকজনকে নিয়ে আমাকে দীর্ঘদিন উত্ত্যক্ত করে আসছে। তাদের অত্যাচারে স্কুলে যেতে পারছি না। তারা আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে।’ তবে শিক্ষার্থীর সমস্যার কথা আগে জানতেন না বলে দাবি করেছেন প্রধান শিক্ষক সিদ্দিক হোসেন।

বাবার দাবি, মামলার পর তাদের অত্যাচার বেড়ে গেছে। রাতবিরাতে বাড়ির চারপাশে দলবল নিয়ে ঘোরাঘুরি করে আসামিরা।

অভিযোগের বিষয়ে হৃদয় হোসেনের ভাষ্য, তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে সব মিথ্যা। তিনি মেয়েদের উত্ত্যক্ত করেন কিনা তা এলাকায় গিয়ে খোঁজ নেওয়ার পরামর্শ দেন।

সদর থানার উপপরিদর্শক ভবেশ চন্দ্র বলেন, এর আগেও ওই শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্তের ঘটনায় থানায় বসে সালিশ করা হয়েছে। সম্প্রতি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ ও হুমকির ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন

×