শাস্তি ভোগ করলেও ‘অনুতপ্ত’ নন পাপিয়া

গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৩ | ১৮:০০
এদিকে নির্যাতনের শিকার রুনা লায়লা এখনও স্বাভাবিক হতে পারেননি। গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন তিনি। তাঁর ঈদও কেটেছে হাসপাতালে। রুনার ছোট ভাই আব্দুল করিম জানান, গতকাল রোববার পর্যন্ত তাঁর অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। শরীরজুড়ে আঘাতের চিহ্ন। কারা কর্তৃপক্ষ তাঁকে হাসপাতালে দেখতে এসেছিল।
মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার ওবায়দুর রহমান সমকালকে বলেন, মানবিক কারণে রুনা লায়লাকে ঈদের পর দিন রাতে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম। তাঁকে গরুর মাংস, রুটি ও ফল উপহার দিয়েছি এবং স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নিয়েছি।
নথি চুরির একটি মামলায় শিক্ষানবিশ আইনজীবী রুনা লায়লাকে গত ১৭ জুন কাশিমপুর মহিলা কারাগারে আনা হয়। কারাগারের সাধারণ ওয়ার্ডে নেওয়ার পর তাঁর দেহ তল্লাশি করে কর্তব্যরত মেট্রন ৭ হাজার ৪০০ টাকা পান। ওই টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য কারাগারের এক মেট্রন এবং পাপিয়া ও তাঁর সমর্থক কয়েদিরা ১৯ জুন রুনার ওপর নির্যাতন শুরু করেন। এক পর্যায়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রুনাকে মেঝেতে ফেলে রাখেন তাঁরা। ঘটনার পরপরই গুরুতর অবস্থায় রুনাকে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ ঘটনার পর গত মঙ্গলবার আদালত রুনা লায়লার জামিন মঞ্জুর করেন। বুধবার কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার ওবায়দুর রহমান বলেন, রুনা লায়লাকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের কারাবিধি অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েদি যেমন রয়েছেন তেমনি নিযুক্ত মেট্রনও রয়েছেন।
জানা গেছে, ২৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবে জেলবিধি অনুযায়ী ‘রাইটার’ হিসেবে নিযুক্ত করার পর থেকেই ভয়ংকর হয়ে উঠতে শুরু করেন পাপিয়া।