ঋতুর গ্রামে বইছে আনন্দ

ছবি- সংগৃহীত
রাঙামাটি অফিস
প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৫ | ১৯:৪৪
ঋতুপর্ণা চাকমার জোড়া গোলে স্বাগতিক মিয়ানমারকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। ২০২৬ এএফসি নারী এশিয়ান কাপে জায়গা করে নিয়ে লাল-সবুজের মেয়েরা পৌঁছে গেছে এশিয়ার অভিজাত ফুটবলের আসরে।
বাঁ পায়ে ঋতুর ট্রেডমার্ক গোলে মোহিত হয়েছে সবাই। মিয়ানমারের বিপক্ষে বাংলাদেশের ২–১ গোলের জয়ে একাই জোড়া গোল করেন ঋতুপর্ণা চাকমা। তার জাদুকরী পারফরম্যান্সে আনন্দে ভাসছে তার মা, আত্বীয়-স্বজন ও গ্রামের লোকজন।
বৃহস্পতিবার সকালের দিকে ঋতুর্পণা চাকমার রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার মগাছড়ি গ্রামের বাড়ীতে গিয়ে দেখা গেছে পরিবারের লোকজনের চোখে-মুখে আনন্দ। তবে বাড়ীতে রয়েছেন শুধুমাত্র ঋতুর্পণার মা বসুপতি চাকমা, বড় বোন পুতুলি চাকমা ও তার ছোট ছেলে। ঋতুর্পণা মা বসুপতি চাকমা দীর্ঘ দিন ধরে শরীরিক অসুস্থতায় ভূগছেন। তাকে দু-তিন পর পর চট্টগ্রামে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। তারা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে সবাই মিলে ঋতুর্পণার খেলা মোবাইলে দেখছেন।
ঋতুর্পণার গ্রামে লোকজনদের চোখে-মুখেও একই খুশির আনন্দ দেখা গেছে। গ্রামের লোকজন কৃষি কাজসহ শ্রমজীবি হওয়ায় এ আনন্দ-উচ্ছাস তেমন একটা ছিল না। গ্রামের লোকজন জানায় বুধবার ইয়াঙ্গুনে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে ঋতুর্পণা চাকমার খেলাটি তাদের খুব ভালো লেগেছে।
ঋতুর্পণা চাকমার বড় বোন পুতুলি চাকমা বলেন, ‘ঋতুর্পণার গোলের কারণে আগামী ২০২৬ সালের এশিয়া কাপ খেলার জন্য বাংলাদেশ যোগ্যতা অর্জন করেছে তাই আমরা খুবই আনন্দিত ও গর্ববোধ করছি। এশিয়ান কাপ যাতে বাংলাদেশের ঘরে আনতে পারে তার বোনের জন্য দেশবাসীর প্রতি দোয়া ও আর্মীবাদ কামনা করেছেন।’
ঋতুর্পণা চাকমার মা বসুপতি চাকমা বলেন, ‘বুধবার রাতে মিয়ানমার থেকে মেয়ে ফোন করেছিলেন খেলা দেখেছি কিনা। আমি বলেছি দেখেছি এবং খুশি হয়েছি।’
- বিষয় :
- ঋতুপর্ণা চাকমা
- রাঙামাটি