ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়ায় পানি বাড়ছে, ভাঙন আতঙ্ক

ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়ায় পানি বাড়ছে, ভাঙন আতঙ্ক

পানি বাড়তে থাকায় ভাঙছে নদীর তীর। ছবি: সমকাল

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৩ | ০৩:০০ | আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৩ | ০৩:০০

উজানের পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়ার পানি বেড়েছে। তবে তিস্তার পানি কিছুটা কমেছে। পানি বৃদ্ধি ও কমায় এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে বসতভিটা হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে শত শত পরিবার।

জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়ার খোলাবাড়ি, খলায়হারা ও উরিয়া ইউনিয়নের চরের কয়েকটি জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি বৃদ্ধিতে ব্রহ্মপুত্রের এক তীর ভাঙছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়ন ও সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানেও ভাঙন দেখা দিয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ির তিস্তামুখ পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরে নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার, করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালি পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার কমেছে। বুধবার ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ পর্যন্ত এ পরিমাণ পানি বেড়েছে ও কমেছে।

খলায়হারা গ্রামের নিরব মিয়া জানান, এক সপ্তাহে এলাকার প্রায় ৩০ একর জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। তিনি প্রায় দু’বিঘা জমি হারিয়েছেন। ফসলি জমিসহ অন্য জমিও হুমকিতে রয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাত আর ড্রেজার দিয়ে নদী খনন করায় এসব জমি বিলীন হচ্ছে। এ পর্যন্ত তিনবার ভাঙনের শিকার হয়েছেন। এলাকায় জিও ব্যাগ না দিলে বসত-ভিটাসহ আবাদি জমি নদী গর্ভে যাবে।

ভাঙনে বসতভিটা হারিয়ে উত্তর উড়িয়া গ্রামে আশ্রয় নেওয়া কৃষক ছমির উদ্দিন (৬৫) বলেন, তিনি চারবার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছেন। যেখানে আশ্রয় নিয়েছেন, সেটিও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। পাশের গ্রাম রতনপুরের কিছু অংশে জিও ব্যাগ ফেলেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে তাঁর এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

সরেজমিনে দেখা যায়, ফুলছড়ির খোলাবাড়ি ও খলায়হারা গ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদে পানি দ্রুত প্রবাহিত হচ্ছে। এলাকার কৃষি জমিতে পাট ও সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ করা হয়েছে। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এ এলাকায় নদীর তীরের কিছু অংশ ভেঙে গেছে। বড় একটি অংশ ঝুঁকিতে রয়েছে।

গাইবান্ধা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন, ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢলে নদ-নদীর পানি বেড়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ প্রস্তুত রয়েছে। ভাঙন এলাকাগুলো চিহৃত করা হবে। জরুরিভাবে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করা হচ্ছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলার সবকটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

আরও পড়ুন

×