বিসিসির ৩ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:২৪
বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেইসঙ্গে একজনকে কারণ দর্শনোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসরাইল হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে এ আদেশ দেওয়া হয়।
বিসিসির জনসংযোগ কর্মকতা বেলায়েত হোসেন বাবলু এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হচ্ছেন- সাবেক বাজেট কাম হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান, হাট-বাজার শাখার তত্ত্বাবধায়ক নুরুল ইসলাম ও ট্রেড লাইসেন্স শাখার তত্ত্বাবধায়ক মো. আজিজ শাহিন।
তিনজনকে সাময়িক বরখাস্তের পাশাপাশি কেন তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হবে-না তা জানাতে সাত কর্মদিবসের মধ্যে জবাব চেয়ে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়।
একই সময় দিয়ে দ্বিতীয় দফায় শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে সাবেক জনংসযোগ কর্মকর্তা আহসান উদ্দিন রোমেলকে।
বরখাস্ত হওয়া তিন কর্মকর্তা কয়েকমাস যাবৎ বিসিসির প্রশাসনিক শাখায় সংযুক্তি (ওএসডি) ছিলেন। আহসান রোমেল এখনও সেখানে সংযুক্তি আছেন।
জনসংযোগ কর্মকর্তা বেলায়েত বাবলু বলেন, মশিউর রহমান বাজেট কাম হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনকালে প্রভাব খাটিয়ে তার বেতন উচ্চতর স্কেলে উন্নীত করেন। নামে-বেনামে একাধিক ব্যাংক হিসাব নম্বর খুলে বিসিসিতে কৃত্রিম অর্থ সংকট সৃষ্টি এবং আয়ের সঙ্গে সংগতিহীন ব্যায়ের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তদন্তাধীন।
তিনি বলেন, আজিজ শাহিন নামে-বেনামে বিসিসির একাধিক স্টল বরাদ্দ নিয়েছেন এবং ট্রেড লাইসেন্স শাখার তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব পালনকালে অবৈধ পন্থায় অর্থ উপার্জনের জন্য অধীনস্ত কর্মচারীদের উৎসাহিত করেন। নামে-বেনামে অসংখ্য স্টল বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগ রযেছে হাট-বাজার শাখার তত্ত্বাবধায়ক নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এছাড়াও তিনি বরাদ্দহীন স্টল ভাড়া দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
সাবেক জনংযোগ কর্মকর্তা আহসান রোমেলকে শোকজ নোটিশ দেওয়া প্রসঙ্গে বেলায়েত বাবলু জানান, তাকে (রোমেল) জনংযোগ কর্মকর্তার পদ থেকে অপসারণের পরও তথ্য গোপন রেখে ওই পরিচয়ে ঢাকায় তথ্য কমিশনের একটি কর্মশালায় অংশ নেন। এ কারণে তাকে এর আগে তিন কর্মদিবসের সময় দিয়ে শোকজ নোটিশ দেওয়া হলেও তিনি জবাব দেননি।
- বিষয় :
- বিসিসি
- সাময়িক বরখাস্ত
- তিন কর্মকর্তা
- নোটিশ