তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি

তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লোকালয়ে ঢুকছে পানি। ছবি: সমকাল
লালমনিরহাট প্রতিনিধি-
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৩ | ১২:১৮ | আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৩ | ১২:৪৮
ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের বন্যার পানির তোড়ে লালমনিরহাটের সব নদনদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে তিস্তার পানি অস্বাভাবিক গতিতে বাড়ছে। শুক্রবার সকালে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বিকেল ৩টায় তা ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইতে থাকে। পানি বাড়ায় ৪ উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
এদিকে পানি বৃদ্ধিতে হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী চরাঞ্চল ও দ্বীপ চর প্লাবিত হয়েছে। লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। আবাদি জমি তলিয়ে গেছে। পরিবার-পরিজন ও গবাদি পশু চরম বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই তিস্তার পানি হু হু করে বাড়তে থাকে। শুক্রবার তিস্তা তীরবর্তী চরাঞ্চল ও দ্বীপচরের বসতভিটায় হাঁটু পানি জমে যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কোমর পর্যন্ত দাঁড়ায়।
আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের বারঘরিয়া আবলার বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বসতভিটা ছেড়ে বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছেন। কেউ যাচ্ছেন আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে। আবার কেউ পরিবার নিয়ে নদী রক্ষা বাঁধে আশ্রয় নিচ্ছেন।
দিনমজুর মফিজ উদ্দিন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ভাতজোটেনি। দুপুরের দিকে একটি কাঁঠাল পরিবারের ছয় সদস্য মিলে খেয়েছি।’
আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউপি চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী জানান, তার ইউনিয়নের প্রায় তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, পরিস্থিতি মোকাবেলায় ১১০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৫ লাখ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়নের কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন।
- বিষয় :
- লালমনিরহাট
- তিস্তা
- বিপৎসীমা