ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

আবর্জনার দুর্গন্ধে চলা দায়, বৃষ্টিতে পানি জমে সড়কে

আবর্জনার দুর্গন্ধে চলা দায়, বৃষ্টিতে পানি জমে সড়কে

বাঘা পৌরসভার সড়কে বৃষ্টির পর জমে রয়েছে কাদা পানি সমকাল

আব্দুল লতিফ মিঞা, বাঘা (রাজশাহী)

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৩ | ১৮:০০

যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে বেশ কয়েকটি স্থানে। এতে দুর্গন্ধের পাশাপাশি বংশবিস্তার করছে মশা। পুরোনো নালাগুলোও সড়কের চেয়ে উঁচু। ফলে বৃষ্টি হলে কাদা পানি জমছে সড়কে। তা মাড়িয়েই চলাচল করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা বাঘা পৌরসভায়। দুর্গন্ধ আর জলাবদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই বসবাস করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।

খোঁজ নিয়ে ও সরেজমিনে দেখা গেছে, পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের পৌরসভার ওভারহেড ট্যাঙ্কের পূর্বপাশের সড়ক দিয়ে গাঁওপাড়া গ্রামে যাওয়ার সড়কের পাশে রয়েছে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। আবর্জনা ফেলা হচ্ছে পৌর বাজারের পশ্চিমে, বাসস্ট্যান্ড, জিরো পয়েন্ট, আড়ানি রোড, ঈশ্বরদী রোড, নারায়ণপুর বাজার রোডসহ বিভিন্ন সড়কের পাশে এবং বাজার এলাকায়।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, দুর্গন্ধ আর মশার যন্ত্রণা এখন তাঁদের নিত্যসঙ্গী। ডাস্টবিনের অভাবে দীর্ঘদিন ভুগতে হচ্ছে। বৃষ্টি হলে ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়। পৌরসভার সংগৃহীত ময়লা-আবর্জনাও ফেলা হয় সড়কের পাশে। বর্ষায় ময়লা ও নোংরা পানি বাড়িতে প্রবেশ করে। যদিও স্থানীয় প্রভাষক আব্দুল হানিফের ভাষ্য, এ বিষয়ে সবার দায়বদ্ধতা রয়েছে। যেখানে সেখানে আবর্জনা ফেলার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। মশা থেকে রক্ষা পেতে মশারি ব্যবহার করা জরুরি।

বাঘা বাজারে মামুন হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন, দুর্গন্ধের কারণে বমি বমি ভাব হয়। মাছ ব্যবসায়ী সোহাগ হোসেনের ভাষ্য, দুর্গন্ধ ছড়ালেও শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে কাজ করছে না কর্তৃপক্ষ। মিলিকবাঘা গ্রামের হাবিবুর রহমান বলছিলেন, ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখলেও কেউ খোঁজ নেয় না। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সড়কের পাশ থেকে আবর্জনা নিয়ে গেলেও আবাসিক এলাকায় যান না।

জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) বানেশ্বর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত সড়ক সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ রয়েছে। জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নালা নির্মাণকাজও থমকে আছে। এতে পৌর এলাকার প্রায় এক কিলোমিটার সড়কে অল্প বৃষ্টিতে পানি জমে দুর্ভোগ বাড়ছে। পথচারী রাশিদুল ইসলামসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, বৃষ্টি হলে কাদা-পানি মাড়িয়ে ও দুর্গন্ধে নাক চেপে চলতে হয়। ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটলেও মশক নিধনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ স্বপন হোসেনের।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল বলেন, পৌরসভার সড়কে বাতি জ্বললেও নিরাপদে হাঁটার সুযোগ নেই। পূর্ণ সুবিধা পাচ্ছেন না পৌরবাসী।

জানা গেছে, এসব সমস্যা সমাধানে ৫০০টি ডাস্টবিন ও টয়লেট এবং ২৫টি ভ্যান দেওয়া হবে। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মমিন হোসেন বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে ডাস্টবিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নালা পরিষ্কার করা হচ্ছে।

ইউএনও (চলতি দায়িত্বে) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জুয়েল আহমেদ বলেন, জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় সওজ কাজ করতে পারছে না। তবে দু’এক মাসের মধ্যেই কাজ শুরু করা যাবে বলে জানিয়েছেন তারা।

মেয়র আক্কাছ আলী বলেন, নির্ধারিত জায়গা না থাকা ও বর্ষায় বর্জ্য অপসারণে সমস্যা হচ্ছে। সড়কের পানি অপসারণ ও বালি ফেলে যানবাহন ও মানুষের চলাচলের ব্যবস্থাসহ মশক নিধনে কাজ চলছে। শহরের উন্নয়নে প্রায় ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প পাওয়া যাবে। এর বাস্তবায়ন হলে সুফল পাবেন বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন

×