বদলে যাওয়া দাসিয়ারছড়া

দাসিয়ারছড়ার কালিহাটে ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত আইসিটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র - সমকাল
ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৩ | ১৮:০০
উন্নয়নের মূলধারার এবার এমপিওভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে এ ছিটমহলের চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। নতুন করে সংযুক্ত হয়েছে মোবাইল টাওয়ার। শিক্ষা, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, ভূমির রেকর্ড, বিদ্যুৎ, কৃষি ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই লেগেছে দিন বদলের বাতাস।
উপজেলার দাসিয়ারছড়া ছিটমহলে গত আট বছরে বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২৫ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ হয়েছে দাসিয়ারছড়ায়। ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন, ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এলজিইডির মাধ্যমে ২৬ কিলোমিটার পাকা সড়ক নির্মাণ যার মধ্যে অন্যতম। এ ছাড়া মেরামত করা হয়েছে ১ কোটি টাকার পাকা রাস্তা। ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে কালিহাটে কমিউনিটি রিসোর্স সেন্টার, ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে শহীদ মিনার, ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে আইসিটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে পাঁচটি মসজিদ, ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি মন্দির, ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নীলকমল নদীর ওপর ব্রিজ এবং ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০টি হতদরিদ্র পরিবারের জন্য বসতবাড়ি নির্মাণ করেছে সরকার।
স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে স্বাস্থ্য বিভাগের এক কোটি টাকা ব্যয়ে বালাটারী, কামালপুর ও খড়িয়াটারী পাড়ায় তিনটি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় বসবাসের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে ৪৪টি পরিবারকে। এ ছাড়া সংযোগ সড়ক করার জন্য এ অফিসের মাধ্যমে ছয়টি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ।
বর্তমানে এখানে ডিজিটাল সাব সেন্টার থেকে স্বল্পমূল্যে দেওয়া হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির সেবা। সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ৬৩০ জনকে বয়স্ক ভাতা, ২৮২ জনকে বিধবা ভাতা ও ৬৪ জনকে প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় আনা হয়েছে। মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে ভিজিডি কার্ড দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৮৫৯ জনকে। মাতৃত্বকালীন ভাতা দেওয়া হয়েছে ২০০ জনকে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০০ হতদরিদ্র পরিবারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ১৭৫ জন কৃষককে স্বল্প সুদে দেওয়া হচ্ছে কৃষিঋণ।
ছিটমহল বিনিময় আন্দোলনের সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা জানান, দাসিয়ারছড়াকে ইউনিয়ন করার দাবি এখনও পূরণ না হলেও আট বছরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
ফুলবাড়ীর ইউএনও সুমন দাস জানান, দাসিয়ারছড়ায় সরকারি ও বেসরকারিভাবে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। অনেক চলমান কাজ রয়েছে।
২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্যরাতের পর থেকে বিলুপ্ত হয়েছিল ছিটমহল। ফলে ভারতের ১৭ হাজার ১৬০ দশমিক ৬৩ একর আয়তনের ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত হয়।
- বিষয় :
- দাসিয়ারছড়া
- ছিটমহল
- উন্নয়ন