বগুড়ায় নেই প্রয়োজনীয় রোগ নির্ণয়ের সরঞ্জাম

আব্দুল আউয়াল, বগুড়া
প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২৩ | ১৮:০০
যন্ত্রের অভাবে হচ্ছে না হার্টের এনজিওগ্রাম পরীক্ষা। বন্ধ রয়েছে ব্লক রিমুভার রিং পরানো ও ওপেন হার্ট সার্জারির ক্যাথ ল্যাবের কার্যক্রম। বিকল তিন বছর পড়ে আছে কিডনির পাথর অপসারণের একমাত্র যন্ত্র ইএসডব্লিউএল। চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে মাত্র একটি সিটিস্ক্যান, এমআরআই ও রেডিওথেরাপি মেশিন দিয়ে। এটি শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের বর্তমান অবস্থা।
কেবল শজিমেক নয়, বগুড়ার সব সরকারি হাসপাতালেই রোগ নির্ণয়ের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই। জেলা সিভিল সার্জনের অফিস ও হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, বেশ কিছু পুরোনো যন্ত্র বিকল হয়ে পড়ে থাকলেও মেরামত করা হচ্ছে না। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ভুগতে হচ্ছে রোগীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৬ সালে জার্মানি থেকে নিয়ে আসা ইএসডব্লিউএল তিন বছর ধরে অকেজো থাকলেও মেরামত করা হয়নি। কিডনির পাথর অপসারণে পড়ে থাকা যন্ত্রটির একটি অংশ মেরামত করতে লাগবে প্রায় ২৬ লাখ টাকা। হাতে গোনা কয়েকটি রোগ নির্ণয়ের যন্ত্র নিয়েই চলছে শজিমেক হাসপাতালের কার্যক্রম।
এক্স-রে মেশিন রয়েছে মাত্র চারটি। গত সপ্তাহে আরও দুটি এক্স-রে মেশিন পাঠানো হলেও সেগুলো এখনও ইনস্টল করা হয়নি। শজিমেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আবদুল ওয়াদুদ জানান, এখানে সৃষ্ট সমস্যা নিয়ে বারবার সংশ্লিষ্টদের চাহিদার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি করে সিটিস্ক্যান ও এমআরআই যন্ত্রের বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
বগুড়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের একমাত্র ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনটি দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে নষ্ট। বর্তমানে অ্যানালগ এক্স-রে মেশিন দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও এখানে নেই কোনো সিটিস্ক্যানের যন্ত্র। চিকিৎসা নিতে আসা নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করে আশপাশের বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিক থেকে সিটিস্ক্যান করাতে হচ্ছে। শয্যার সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাসপাতালটিতে ইসিজি মেশিন প্রয়োজন অন্তত চারটি।
এ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, যন্ত্র ক্রয়-বিক্রয় বা মেরামতের অধিকার আমাদের নেই। কয়েক দফা কেন্দ্রীয় ঔষধাগারকে চাহিদাপত্র ও তাগিদ দেওয়া হয়েছে। তারা আশ্বাস দিয়েছে ঠিকই; এখনও সমাধান হয়নি।