ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

কোটি কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা

কোটি কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা

ফাইল ছবি

স্বরূপকাঠি (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৩ | ১৮:০০

স্বরূপকাঠিতে সদস্যদের জমা দেওয়া সঞ্চয়ের কোটি কোটি টাকা নিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন আস্থা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি এবং আদমকাঠি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির পরিচালকরা। ফিক্সড ডিপোজিট, পেনশন ডিপোজিট স্কিম পদ্ধতিতে ৫-৬ বছরে দ্বিগুণ মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা সংগ্রহ করেন তারা। এভাবে হাজারো মানুষের কাছ থেকে সমিতিগুলো কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, গণপতিকাঠি গ্রামের বিশ্বজিত হালদার খোকন পরিচালিত আস্থা সমবায় সমিতি (পিডি-৭৭) ১০-১২টি শাখা অফিসের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করেন। একইভাবে আদমকাঠি ক্ষুদ্র সমবায় সমিতির (পিডি-১৪) পরিচালক হিরণ্ময় মণ্ডল, সুব্রত মজুমদার ও বিপুল কির্তনীয়া কয়েক কোটি টাকা সঞ্চয় সংগ্রহ করেছেন। তারা পালিয়ে থাকায় সদস্যরা সঞ্চিত টাকা উদ্ধারে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ঘটনার পর সমিতির ২০-৩০ জন মাঠকর্মী ভয়ে পরিবার নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সমবায় অধিদপ্তর পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, সমিতির পরিচালকদের মূল টার্গেট ছিল অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী ও মধ্যবিত্ত পরিবারের নারী সদস্যরা। গা-ঢাকা দেওয়া আস্থা সমিতির মাঠকর্মী ভরতকাঠি গ্রামের অঞ্জু রানী বলেন, তাঁর এলাকার অনেকে সমিতিতে টাকা রেখেছেন। এর পরিমাণ কোটি টাকার বেশি হবে। তিনি ঋণ বিতরণ ও কিস্তি আদায় করতেন। হয়রানির ভয়ে তিনি পালিয়ে রয়েছেন। একই কথা বলেন দৈহারী এলাকার কর্মী মনি মণ্ডল।

শশীদ এলাকার বিনয় ভূষণ নামে এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী ২০ লাখ টাকা জমা রেখেছেন বলে জানান তাঁর এক স্বজন। কাটা দৈহারী গ্রামের মিজানুর রহমান দুটি পাস বইতে ৫২ হাজার টাকা জমা নিয়েছেন জুলুহারের বীর মুক্তিযোদ্ধা চিত্তরঞ্জন মিস্ত্রির কাছ থেকে।

ফোন বন্ধ পাওয়ায় আস্থা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির পরিচালক বিশ্বজিৎ হালদার খোকনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলা যায়নি। ফোন বন্ধ রেখেছেন আদমকাঠি ক্ষুদ্র সমবায় সমিতির পরিচালকরাও।

কুরিয়ানা বাজারের বিশ্বজিৎ হালদারের তিন তলাবিশিষ্ট অট্টালিকা রয়েছে। আদমকাঠি সমিতির পরিচালক হিরণ্ময় মণ্ডল, সুব্রত মজুমদারেরও দোতলা বাড়ি রয়েছে আদমকাঠিতে। উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইউএনও মো. মাহাবুব উল্লাহ মজুমদার বলেন, অনেকে অভিযোগ করছেন। সমিতির পরিচালকদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সমবায় কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন

×