ঈদুল আজহার ভিজিএফের চাল পায়নি সুবিধাভোগীরা

প্রতীকী ছবি
মাদারগঞ্জ (জামালপুর) সংবাদদাতা
প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৩ | ১৮:০০
৪৭০ টন ভিজিএফের চাল গত ঈদুল আজহার আগে বিতরণের জন্য বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। অথচ দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও চালগুলো বিতরণ করা হয়নি। এ কারণে কষ্টে রয়েছেন মাদারগঞ্জ উপজেলার ৪৭ হাজার ৩৪ দরিদ্র সুবিধাভোগী। তাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে সাতটি ইউনিয়নে ৪৭০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত ঈদুল আজহার আগেই বালিজুড়ী, চপাকেরদহ, জোড়খালী, গুনারীতলা, সিধুলী, কড়ইচুড়া ও অদারভিটা ইউনিয়নের ৪৭ হাজার ৩৪ দরিদ্র ব্যক্তির মধ্যে ১০ কেজি করে চাল বিতরণের কথা ছিল। এ জন্য গত ২৫ জুন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের নামে বরাদ্দের ডিও ছাড় দেওয়া হয়। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার পরামর্শে মসজিদভিত্তিক সমাজের দরিদ্রদের নতুন তালিকা তৈরি করতে বলায় নির্দিষ্ট সময়ে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়নি।উপজেলা চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান বেলালের ভাষ্য, আগে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জন্য ভিজিএফ সুবিধাভোগীদের মোবাইল ফোনের ওটিপি বার্তার মাধ্যমে চাল বিতরণ করা হতো। এই পদ্ধতিতেও জটিলতা দেখা দেওয়ায় তালিকা সংশোধন করা হয়েছে। এতে কিছুটা সময় লাগায় সঠিক সময়ে বরাদ্দের চাল বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। তবে দ্রুতই চাল বিতরণ করা হবে।
কড়ইচুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বাচ্চুর দাবি, ভিজিএফের চাল বিতরণ কাজে কোনো গাফিলতি নেই তাঁর। স্বচ্ছ তালিকা প্রণয়নে দেরি হওয়ায় এমনটি হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে চাল বিতরণ করা হবে।
একাধিক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যান তালিকা তৈরিতে জটিলতার কারণে চাল বিতরণ করা হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন। তবে তাদের কথা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করেছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল। তিনি বলেন, ভিজিএফের চাল যথাসময়েই শতভাগ বিতরণ করা হয়েছে। এর বাইরে তাঁর কাছে কোনো তথ্য নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইলিশায় রিছিল বলেন, ভিজিএফের চাল নির্ধারিত সময়ে বিতরণ না করার কারণ নেই। বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নেবেন।
- বিষয় :
- মাদারগঞ্জ
- চাল
- ভিজিএফের চাল