ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

খুলনা মেডিকেলে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের কর্মবিরতি স্থগিত

খুলনা মেডিকেলে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের কর্মবিরতি স্থগিত

দাবি পূরণ না হলে শনিবার থেকে আবারও আন্দোলনে নামার কথা জানিয়েছেন মেডিকেল শিক্ষার্থীরা - সমকাল

খুলনা ব্যুরো

প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৩ | ১৩:৫২ | আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০২৩ | ১৩:৫২

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা শুক্রবার পর্যন্ত কর্মবিরতি স্থগিত করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. সাইফুল ইসলাম অন্তর এ ঘোষণা দেন। এ সময় মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পক্ষে সাদিকুর রহমান শ্রাবণ কর্মসূচি স্থগিত করে জানান, তিন দাবি পূরণ না হলে শনিবার থেকে তারা আবারও আন্দোলনে নামবেন।

শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে– হামলাকারী ওষুধের দোকানি-কর্মচারীদের আটক, হাসপাতালে দুটি মডেল ফার্মেসি চালু ও ক্যাম্পাসে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন।

চার দিন পর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কাজে এবং শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফেরায় রোগীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। ফার্মেসি মালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে গন্ডগোলের জেরে গত সোমবার রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। তাদের সঙ্গে ক্লাস বর্জন করেন মেডিকেল কলেজটির শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, ওষুধের দোকানিরা তাদের প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় জড়িতদের আটকের দাবিতে ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছেন। বুধবার রাতে কলেজ কর্তৃপক্ষের মামলায় সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ বিপ্লব ফার্মেসির মালিক মাহমুদুর রহমান বিপ্লব ও আবিদ ফার্মেসির কর্মচারী মীর বায়েজিদকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ এনে থানায় এজাহার দেন খুলনা মেডিকেল কলেজের সচিব মো. মনিরুজ্জামান। বুধবার রাতে থানায় চারজনের নামে ও অজ্ঞাতনামা ৫০ ওষুধের দোকানিকে আসামি করে মামলা রেকর্ড হয়।

বিএমএ খুলনা জেলা সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলমের অভিযোগ, পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি ও দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করলে পরিস্থিতি এতদূর গড়াত না। খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, ‘শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবি পূরণে প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ নিলে রোগীদের দুর্ভোগে পড়তে হতো না।’

বৃহস্পতিবার সরেজমিন হাসপাতালের সামনের ৯০টি ওষুধের দোকান বন্ধ পাওয়া যায়। বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির পরিচালক জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাদের মারধর ও দোকান ভাঙচুর করেছেন। এখন আমাদের বিরুদ্ধেই মামলা হলো। গ্রেপ্তারের ভয় ও ফের হামলার আশঙ্কায় দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে।’

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ও ফার্মেসি বন্ধের কারণে চার দিন চরম দুর্ভোগ পোহান রোগীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালের প্রধান ফটকে ওষুধের তালিকা হাতে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় অনেককে। এ সময় বটিয়াঘাটার সুরখালী গ্রামের জয়ন্ত ঢালী বলেন, ‘সকালে দুই কিলোমিটার দূর থেকে একটি ইনজেকশন কিনে এনেছি। আসা-যাওয়ায় ভাড়া লেগেছে ৩০ টাকা। দুপুরে আবার দুটি ক্যাপসুল দিয়েছে, তার জন্যই ফার্মেসি খুলেছে কিনা দেখছি। দিনে দুবার চিকিৎসক আসেন। প্রতিবার ওষুধ কিনতে দু-তিন কিলোমিটার যেতে জান বের হয়ে যায়।’

আরও পড়ুন

×