ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

মাগুরা-২

মনোনয়ন ঘিরে আ’লীগে বিভাজন

মনোনয়ন ঘিরে আ’লীগে বিভাজন

মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৩ | ০১:০৯ | আপডেট: ২১ আগস্ট ২০২৩ | ০১:০৯

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মাগুরা-২ আসনে আওয়ামী লীগের রাজনীতি। জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় বর্তমান সংসদ সদস্য ও দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী মঞ্চেই জড়িয়েছেন বাদানুবাদে। এ ঘটনায় বিভক্ত হয়ে পড়েছেন মহম্মদপুর, শালিখা এবং মাগুরার চারটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত আসনটির নেতাকর্মীরা। বর্তমান এমপি এবং মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের পক্ষের কর্মীরা দিন দিন অসহিষ্ণু হয়ে উঠছেন। এ নিয়ে সংঘাতের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতারা।

ঘটনার শুরু ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে শালিখা উপজেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা থেকে। সকালে ওই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় এমপি এবং সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদার। আমন্ত্রণ না পেলেও ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্মল কুমার চ্যাটার্জি এবং মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক কর্নেল (অব.) কাজী শরিফ উদ্দীন। এই দুই নেতা মঞ্চে ওঠার পর আলোচনা শুরু হয়। এর মধ্যে কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) কাজী শরিফ উদ্দীনকে মঞ্চ থেকে নেমে যেতে অনুরোধ করেন এমপি বীরেন শিকদার। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মঞ্চেই কথা কাটাকাটি হয়।

শরিফ উদ্দীন জানান, তিনি দলের মাগুরা জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে ওই অনুষ্ঠানে যান। শোক দিবসের অনুষ্ঠানে যাওয়ার অধিকার তাঁর রয়েছে। তাঁর অভিযোগ, অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময়ও পেছন থেকে তাঁকে নানাভাবে হেয় করা হয়। এমপির ভাই বিমল শিকদার তাঁর বাহিনী দিয়ে অপমানও করেন। শোক দিবসের অনুষ্ঠান হওয়ায় তিনি প্রতিক্রিয়া দেখাননি।

এমপি বীরেন শিকদার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অনুষ্ঠানে তাঁর (শরিফ উদ্দীন) আমন্ত্রণ ছিল না। তাঁকে শুধু পেছনের সারিতে বসতে বলা হয়েছিল। তাও আমি বলিনি। বলেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আবু হানিফ।

এরপর দুপুরে মহম্মদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং উপজেলা প্রশাসনের আলোচনা অনুষ্ঠানেও বীরেন শিকদার প্রধান অতিথি ছিলেন। আমন্ত্রণ না থাকলেও সেখানে উপস্থিত হন নির্মল চ্যাটার্জি। এরপর তাঁকে বক্তব্য দিতে না দেওয়া নিয়ে বাদানুবাদ হয়।

শোক দিবসের দুই অনুষ্ঠানে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের অন্তর্কোন্দল প্রকাশ হওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীর মধ্যেও বিভাজন তৈরি হয়েছে। ফেসবুকে এ নিয়ে অনেকে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। এমন অবস্থা চলতে থাকলে যে কোনো সময় সংঘাত হতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা।

এ বিষয়ে শালিখা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াসুর রহমান বলেন, প্রকাশ্যে মঞ্চে বসে বর্তমান এমপি এবং মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতার বাগ্‌বিতণ্ডায় আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। সাধারণ নেতাকর্মীর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুমার কুণ্ডু বলেন, শালিখা ও মহম্মদপুরে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান নিয়ে মৌখিকভাবে কয়েকজন নেতা অভিযোগ করেছেন। আমি মাসিক সভায় বিষয়টি তুলে ধরব।

আরও পড়ুন

×