ভরা বর্ষায়ও নাব্য সংকট
-samakal-64eba543e2215.jpg)
শিবালয়ের আরিচা ঘাটের অদূরে নদীতে চলছে ড্রেজিং। ছবিটি শনিবারের- সমকাল
নিরঞ্জন সুত্রধর, শিবালয় (মানিকগঞ্জ)
প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৩ | ১৮:০০
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আরিচা ঘাট থেকে পাবনার কাজীরহাট নৌরুটে সাধারণত বর্ষা মৌসুমে তীব্র স্রোত থাকে। যে কারণে ফেরিসহ অন্যান্য নৌযান চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। শুকনো মৌসুমে থাকে বিপরীত চিত্র। নাব্য সংকটে পড়ে এ রুটটি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বর্ষাকালেও এ রুটে নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে। এর সমাধানে ১১ জুলাই ড্রেজিং শুরু করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। স্থানীয় লোকজন বলছেন, ওই কাজে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবে ফেরি চলাচল করতে পারছে না।
বিআইডব্লিউটিএ আরিচা ঘাট কার্যালয় সূত্র জানায়, স্বাভাবিকভাবে বড় ফেরি চলাচল করতে হলে আরিচা-কাজীরহাট নৌরুটে ৯ থেকে ১০ ফুট গভীরতা প্রয়োজন। বর্ষা মৌসুমে স্রোতের সঙ্গে উজান থেকে আসা বিপুল পরিমাণ পলি চ্যানেলে জমা হয়েছে। ফলে নাব্য কমে গেছে। এ কারণে ড্রেজিং শুরু হয়েছে।
এদিকে নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে আরিচা ৩ নম্বর ফেরিঘাটের বেসিনেও। সেখানেও ফেরি ভেড়ানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ওই বেসিনে ড্রেজিং করছে ব্রহ্মপুত্র ও সন্ধ্যা নামের দুটি ড্রেজার। এ ঘাট থেকে বর্তমানে কাজীরহাট যাচ্ছে মাত্র দুটি ফেরি। তবে রুটটি পুরোপুরি সচল করতে কত লাখ ঘনমিটার পলি অপসারণ প্রয়োজন– সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এমন তথ্য জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, মূল সমস্যা সমাধানে কিছু দিন সময় লাগতে পারে।
দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলোর হাজারো যাত্রী প্রতিদিন এ রুট ব্যবহার করেন। ফেরি স্বল্পতার কারণে তাদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। আর কিছুদিন পরই দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহত্তম উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ সময় ঘরমুখো যাত্রীদের ঘাটে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতে পারে বলে কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশেনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম খালেদ নেওয়াজ নাব্য সংকটের কারণে আরিচা-কাজীরহাট রুটে ফেরি চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, নৌ-চ্যানেলে নাব্য সংকটের কারণে ফেরিগুলো ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যানবাহন পারাপার করছে। ফেরি চলাচল সচল রাখতে বিআইডব্লিউটিএ সেখানে ড্রেজিং চালিয়ে যাচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএর আরিচা ড্রেজিং ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান আহম্মেদ বলেন, ফেরি চলাচল যেন চালু থাকে, সে লক্ষ্যে ১১ জুলাই থেকে আরিচার ২ ও ৩ নম্বর ফেরিঘাটের বেসিনসহ নৌরুটজুড়ে ড্রেজিং শুরু করেছেন। এরই মধ্যে নাব্য সংকটের কারণ দেখিয়ে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে পরদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। মূল চ্যানেলেও ড্রেজিং চলছে।
- বিষয় :
- নাব্য সংকট
- শিবালয়