ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

মাদ্রাসায় ভর্তির পর থেকেই ছাত্রকে যৌন নির্যাতন

মাদ্রাসায় ভর্তির পর থেকেই ছাত্রকে যৌন নির্যাতন

ফাইল ছবি

লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৩ | ১৬:৪১ | আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৩ | ১৬:৪১

এক কিশোরকে ধারাবাহিকভাবে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে মাদ্রাসাশিক্ষককে ধরে পুলিশে দিয়েছে পরিবার। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার কনকসার ইউনিয়নের একটি গ্রাম থেকে পুলিশ তাঁকে লৌহজং থানা হেফাজতে নেয়। পরে ভুক্তভোগীর বাবার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার ওই শিক্ষককে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার বেলায়েত হোসেন ওই ইউনিয়নের দারুল উলুম সিংহের হাটি কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক। গত রোজার মধ্যে ওই মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়েছিল কিশোরকে (১৩)। সে জানায়, ভর্তি হওয়ার পর থেকেই শিক্ষক বেলায়েত রাতে তার পাশে ঘুমাতে শুরু করেন। এ সুযোগে প্রায় প্রতি রাতেই ধর্ষণ করতে থাকেন। গত ১৩ আগস্ট রাতে ধর্ষণের চেষ্টা করলে ছেলেটি বাধা দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বেলায়েত বঁটি দিয়ে গলা কাটার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করেন। পরদিনই সে বাড়ি চলে যায়। শিক্ষক বেলায়েত বাড়ি থেকে ফিরিয়ে এনে ধর্ষণের ঘটনা কাউকে বলেছে কিনা জানতে চান। 

ছেলেটি জানায়, অন্য ছাত্ররা বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে আজেবাজে কথা বলা শুরু করে। এতে সে লজ্জায় পড়ে যায় এবং বিব্রত বোধ করতে থাকে। পরীক্ষা শেষে মাদ্রাসা ছুটি হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার সে বাড়ি চলে যায়। 

রোববার সন্ধ্যায় শিক্ষক বেলায়েত তাকে মাদ্রাসায় নিয়ে যেতে ছেলেটির বাড়িতে যান। এ সময় সে যেতে না চাইলে তাকে জোর করেন বেলায়েত। বাধ্য হয়ে ধর্ষণের বিষয়টি বোনকে জানায় ছেলেটি। বোনের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে শিক্ষক বেলায়েত হোসেনকে আটক করে। সংবাদ পেয়ে লৌহজং থানার পুলিশ সদস্যরা সেখানে গেলে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। 

লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ঈমাম হোসেন বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মাদ্রাসাছাত্রকে ধর্ষণের সত্যতা পেয়েছেন। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছেলেটির বাবা মামলা করেছেন। এতে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বেলায়েতকে সোমবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।


আরও পড়ুন

×