লামা
ছাত্রীকে ধর্ষণ ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ

সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর পরিবারের লোকজন - সমকাল
লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৮:১৩ | আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৮:১৩
বান্দরবানের লামায় এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। লামার পার্শ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলার বমুবিলছড়ি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মিজান মেম্বারের বর্গাচাষি মিজানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করা হয়।
শনিবার প্রেস ক্লাবে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর পরিবারের লোকজন। ওই কলেজছাত্রীর মা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তারা অতিদরিদ্র বিবেচনায় লামা বন বিভাগের বমুরিজার্ভে বসবাস করেন। তারা রিজার্ভের বাগানের পরিচর্যা ও দেখাশোনা করে আসছিলেন। ৪-৫ বছর আগে তাঁর স্বামী রোগাক্রান্ত হয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েন। এতে ৪ মেয়ে ও ২ ছেলে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন তিনি। তাঁর স্বামীর চিকিৎসা ও পারিবারিক ব্যয় মেটানোর জন্য দুবাই প্রবাসী একই এলাকার নুর হোসাইনের কাছে তাদের ৬ একর জমি বন্ধক দেন। সম্প্রতি ওই জমি ছাড়িয়ে নিতে চান। এ সময় নুর হোসেন জমি মিজান মেম্বারের কাছে ৩০ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন বলে তাদের জানান।
সরকারি জমি কীভাবে কিনেছেন জানতে চাইলে তাদের বকাঝকা ও উচ্ছেদের হুমকি দেন মেম্বার। মিজান মেম্বারের বর্গাচাষি একই এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মিজান মিয়াকে জমি চাষাবাদ না করার কথা বলায় সেও উত্তেজিত হয়। শুক্রবার লামা পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম উভয় পক্ষকে ডেকে নিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। বিচারস্থল লামা বাজারের গেস্টহাউস থেকে ফেরার সময় তাঁর কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেন বর্গাচাষি মিজান।
এ ব্যাপারে মিজান মেম্বার জানান, নুর হোসাইনের কাছ থেকে দখল স্বত্ব কিনে নিয়েছেন তিনি। জমির মালিক সরকার, তাই সরকার যখন চাইবে জমি ফেরত দেবেন।
বর্গাচাষি মিজান মিয়া দাবি করেন, গরু-ছাগলে ক্ষেতের ফসল নষ্ট করায় বকাঝকা করেছেন, তবে তিনি কাউকে ধর্ষণ বা হত্যার হুমকি দেননি।