ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

পাটের দামে হতাশ কৃষক

পাটের দামে হতাশ কৃষক

পাটের বেচাকেনা চলছে রাজবাড়ী বাজারে। ছবি-সমকাল

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৮:০০

পাটের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন কৃষক। মাত্র ১৭শ থেকে ২২শ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে পাট। কৃষকরা বলছেন, যে দামে পাট বিক্রি হচ্ছে তাতে খরচ উঠছে না। আড়তদাররা জানান, মিলে পাটের চাহিদা না থাকায় দাম কম।

চলতি বছর রাজবাড়ী জেলায় ৪৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে পাট আবাদ হয়েছে। হেক্টরপ্রতি সাড়ে ১১ বেল হিসাবে ৫ লাখ ৬৯ হাজার ২৫০ বেল পাট উৎপাদন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজবাড়ী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা ভ্যান, রিকশা, নছিমন-করিমনে করে পাট নিয়ে বাজারে এসেছেন। কেউ বিক্রি করছেন। কেউ অপেক্ষায় রয়েছেন ভালো দামের আশায়।

সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক আবু বক্কর জানান, এ বছর ৪০ মণ পাট উৎপাদন হয়েছে তাঁর জমিতে। পানি ছিল না। পাট জাগ দিতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। শ্রমিকের মজুরি অনেক বেশি দিতে হয়েছে। প্রতি বিঘায় প্রায় ৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন মাত্র ২২শ টাকা মণ পাট। এই দরে পাট বিক্রি করে উৎপাদন খরচও উঠবে না।

সদর উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ চুন্নু শেখ জানান, চার মণ পাট বাজারে এনে শুধু ঘুরছেন। ২২শ টাকার ওপরে কেউ দাম বলছেন না। বিক্রি করলে খরচের টাকাও উঠবে না।

পাট ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাধারণত চার ধরনের পাট কৃষকরা নিয়ে আসেন। বর্তমান বাজারদরে ভালো পাট হলে ২৫শ টাকা মণ কিনছেন। মানভেদে ২৩শ, ২ হাজার ও ১৭শ টাকা মণ দরেও পাট কিনছেন তারা। তিনি জানান, মিলে পাটের চাহিদা না থাকায় পাটের দাম কম। গত বছরের ৩০ শতাংশ পাট এখনও রয়ে গেছে।

জাতীয় কৃষক সমিতি রাজবাড়ী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অরুণ কুমার সরকার বলেন, পাট কমপক্ষে ৫ হাজার টাকা মণ হওয়া উচিত। তা না হলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সরকারের উচিত কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় এগিয়ে আসা। রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রতি মণ পাটে খরচই হয় ২৪শ টাকার বেশি। পাটের যে দাম পর্যাপ্ত নয়। পাটজাত পণ্যের রপ্তানি কম হওয়ায় মিলগুলোতে চাহিদা নেই। পাটের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আগামী মৌসুমে প্রণোদনা দেওয়া হবে কৃষকদের।

আরও পড়ুন

×