পাট

পাট নিয়ে অনেক কিছু করার আছে, পাটের সম্ভাবনা কখনো শেষ হবে না—এমন মন্তব্য করে বাংলাদেশে পাটখাতের গবেষণা ও উৎপাদন আরও জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান।

স্থলপথ দিয়ে বাংলাদেশের পাট ও পাটপণ্য আমদানিতে ভারতীয় নিষেধাজ্ঞায় এ খাতের রপ্তানি ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হতে পারে। সমুদ্রপথে পাট ও পাটপণ্য রপ্তানিতে ব্যয় বেশি। সময়ও বেশি লাগে। সমুদ্রপথে

বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়। স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলেও দেশটির নহাভা শেভা সমুদ্র বন্দর দিয়ে আমদানি করা যাবে।

বাংলাদেশ জুট গুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেজিইএ) ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠিত হয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে সদস্যরা ভোট দিয়ে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত করেন।

পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পলিথিন বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। মাটি ও মানুষের এ শত্রুর বিরুদ্ধে আগামীকাল শুক্রবার থেকে চলবে অভিযান। সারাদেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে বাস্তবায়নাধীন কর্মসূচির লক্ষ্যবস্তু করা হবে বাজার ও কারখানা।

বহুমুখী পাট পণ্য তৈরি করে পাটের ব্যবহার বাড়াতে গবেষণার তাগিদ দিয়েছেন কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান। বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নিষিদ্ধ পলিথিনের বিকল্প পরিবেশবান্ধব পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে সরকার চেষ্টা করছে। ফলে পাটের সেই সুদিন আবার ফেরত আনার সুযোগ তৈরি হয়েছে। সোনালী আঁশের মান আরও উন্নত করতে হবে।

পাটের রাজধানী খ্যাত ফরিদপুরে এ বছর পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। রপ্তানিযোগ্য এ পণ্যটির ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না তারা। বাধ্য হয়ে উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে পাট বিক্রি করছেন। আর গুনছে লোকসান। এদিকে ভরা মৌসুমেও বাজারে তেমন পাট নেই। 

পণ্যে পাটজাত মোড়কের বহুল ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে নীতিগত সহায়তা দেবে পরিবেশ মন্ত্রণালয়।

পাচার রোধে সড়ক পথে কাঁচা পাট রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞাসহ ১৩ দফা দাবি জানিয়েছে বেসরকারি পাটকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএমএ)।

এ বছর বাজারে পাটের দাম একেবারে কম। অন্য বছর ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও এবার প্রতি মণে পাওয়া যাচ্ছে ২ হাজার ২০০ টাকা। বাজারে পাটের চাহিদা নেই। সিন্ডিকেটের কারণে এবার এ অবস্থা। পাট চাষ করে কোনো চাষির উৎপাদন খরচ উঠবে না। সবাইকে লোকসান গুনতে হচ্ছে। কথাগুলো বলছিলেন জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামের পাটচাষি মকবুল হোসেন মলু।