দুই কোটি ৬১ লাখ টাকা আত্মসাৎ, গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ওএসডি

ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৮:০৬ | আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৮:০৬
করোনা পরীক্ষার ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদকে ওএসডি করা হয়েছে। তাঁকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালীতে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব আলমগীর কবীর স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপনে সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদকে ৫ কর্মদিবসের মধ্যে বদলির কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়। তা না হলে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি বা স্ট্যান্ড রিলিজ গণ্য হবেন তিনি।
এদিকে গোপালগঞ্জের নতুন সিভিল সার্জন হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. জিল্লুর রহমান।
অভিযোগে বলা হয়, ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ ও ডা. সুজাত আহমেদ পৃথক মেয়াদে খুলনার সিভিল সার্জনের দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় খুলনা জেনারেল হাসপাতালে বিদেশগামী যাত্রী ও সাধারণ কভিড-১৯ রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবে পাঠানো হতো। তবে ল্যাবে যে পরিমাণ নমুনা পাঠানো হয়, তার থেকে রোগীর সংখ্যা কম দেখিয়ে টেস্টের ফি আত্মসাৎ করা হয়। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত মোট ফি আদায় করা হয়েছিল ৪ কোটি ২৯ লাখ ৯১ হাজার ১০০ টাকা। সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছিল ১ কোটি ৬৮ লাখ ৪৬ হাজার ৭০০ টাকা। বাকি ২ কোটি ৬১ লাখ ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। ২০২২ সালে ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ খুলনা থেকে বদলি হয়ে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন হিসেবে যোগ দেন। আর ডা. সুজাত আহমেদ চাকরি থেকে অবসরে গেছেন।
টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান বাদী হয়ে ২০২১ সালের ১৮ নভেম্বর খুলনা থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে চলতি বছরের ২৭ জুলাই গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ, খুলনার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়।
আসামিরা হলেন- খুলনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) প্রকাশ কুমার দাস ও মো. রওশন আলী, ক্যাশিয়ার তপতী সরকার, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এস এম মুরাদ হোসেন, তৎকালীন সময়ে দায়িত্ব পালন করা খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ ও সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ।
চার্জশিটে বলা হয়েছে, পরস্পর যোগসাজশে সরকারি রসিদ বইয়ের বাইরে ডুপ্লিকেট রসিদ বই ব্যবহার করে তারা ওই টাকা আত্মসাৎ করেন।
- বিষয় :
- করোনা পরীক্ষা
- টাকা আত্মসাত
- সিভিল সার্জন