নির্বাচনের টাকা ‘ভাগাভাগি’র জেরে আ.লীগ নেতাকে হত্যা

নিহত মো. হোসেন। ফাইল ছবি
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৫:১৭ | আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৫:১৭
চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে কেন্দ্র খরচের টাকা ‘ভাগাভাগি’ নিয়ে বিরোধের জেরে ছুরিকাঘাতে আওয়ামী লীগের এক নেতা খুন হয়েছেন। রোববার দুপুরে নগরের পাহাড়তলী থানার সরাইপাড়া হাজী আশরাফ আলী সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. হোসেন ওরফে মান্না (৪৫) একই এলাকার মৃত নুরু মিয়ার ছেলে। তিনি নগরের ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। এই সময় তার ছেলে মো. অমিত আহত হয়েছেন। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন ঘটনার পর পালিয়েছেন। তিনি সরাইপাড়া ইউনিট আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ওয়ার্ড কৃষক লীগের যুগ্ম আহবায়ক।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ১৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে রাস্তার উপর ছুরিকাঘাত করতে দেখা যায় জসিম উদ্দিনকে। গত ৩০ জুলাই চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং, পাহাড়তলী ও হালিশহর) আসনের উপ-নির্বাচনে একটি ভোট কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে ছিলেন স্থানীয় নেতা মো. হোসেন। কেন্দ্র কমিটির সদস্য ছিলেন জসিম উদ্দিন। ওই কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ায় কেন্দ্র খরচের টাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। গত ১৫ আগস্ট সরাইপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু। ওইদিন এ নিয়ে দুজনের মধ্যে আবার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জসিম উদ্দিনকে থাপ্পড় মারেন মো. হোসেন। এ নিয়ে থানায় অভিযোগের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেন জসিম। পরে পাল্টা মামলা করেন মো. হোসেনও। কয়েকদিন আগে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে বৈঠকে বিষয়টি সমঝোতা হয়। সমঝোতা বৈঠকে পাহাড়তলী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসলাম হোসেন, সরাইপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও কাউন্সিলর নুরুল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক এম শওকত আলী ও এবিএম লুৎফুল হক খুশি উপস্থিত ছিলেন।
পাহাড়তলী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আসলাম হোসেন বলেন, ‘দুজনই দলের সক্রিয় কর্মী। ভোটকেন্দ্র ব্যবস্থাপনা নিয়ে তাদের মধ্যে মত বিরোধ দেখা দেয়। ভোট কাস্টিং কম হয়েছে, এজন্য একজন আরেকজনকে দোষারোপ করেন। এসব বিষয় নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। কয়েকদিন আগে কাউন্সিলরের বাসায় বসে মীমাংসা করেন। তারপরও কেন এমন ঘটনা ঘটল বুঝতেছি না।’
পাহাড়তলী থানার ওসি জহির উদ্দিন সমকালকে বলেন, পূর্ব বিরোধের জেরে হোসেনকে ছুরিকাঘাত করেছে জসিম। তার শরীরের একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার ছেলেও আহত হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।