ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

চবিতে ভাঙচুরের মামলায় ১৪ শিক্ষার্থীর ১২ জন ছাত্রলীগ

চবিতে ভাঙচুরের মামলায় ১৪ শিক্ষার্থীর ১২ জন ছাত্রলীগ

চবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৭:০৪ | আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৭:০৪

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটল ট্রেন দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ হয়ে ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায় দুটি মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে ১৪ শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করে এক হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে। 

নাম উল্লেখ করা ১৪ জন শিক্ষার্থী হলেন- ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্সুরেন্স বিভাগের ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শাকিল হোসেন আইমুন, সংস্কৃত বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের দীপন বণিক দীপ্ত, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মো. রিয়াদ হাসান রাব্বি, ইংরেজি বিভাগের ২০-২১ শিক্ষাবর্ষের নূর মোহাম্মদ মান্না, ইতিহাস বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সৌরভ ভূঁইয়া, পালি বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আমিনুল ইসলাম, পদার্থবিদ্যা বিভাগের ১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শফিকুল ইসলাম, দর্শন বিভাগের ১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের সাজ্জাদ হোসেন, পরিসংখ্যান বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মো. ইমরান নাজির ইমন, ফারসি ভাষা বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আনিসুর রহমান, ইতিহাস বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের নাসির উদ্দিন মো. সিফাত উল্লাহ, সংস্কৃতি বিভাগের ১৭-১৮ অনিক দাশ, বাংলা বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের অনিরুদ্ধ বিশ্বাস, বাংলা বিভাগের শিক্ষাবর্ষের মোঃ আজিমুজ্জামান।

এই ১৪ জনের মাঝে ১২ জনই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। ১২ জনের মাঝে চবি ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপ সিক্সটি নাইনের অনুসারী ছয়জন হলেন সৌরভ ভূঁইয়া, অনিরুদ্ধ বিশ্বাস, আনিসুর রহমান, মো. রিয়াদ হাসান রাব্বি, মো. নাসির উদ্দিন মো. সিফাত উল্লাহ, ও শফিকুল ইসলাম। অন্যদিকে সিএফসি গ্রুপের অনুসারী চারজন হলেন, শাকিল হোসেন আইমুন, দীপন বণিক দীপ্ত, মো.আজিমুজ্জামান ও নুর মোহাম্মদ মান্না।  অনিক দাশ বিজয় গ্রুপ ও চবি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াছের অনুসারী। ইমরান নাজির ইমন সিএফসি গ্রুপ ও চবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী। অন্যদিকে সাজ্জাদ হোসেনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং আমিনুল ইসলাম সাধারণ শিক্ষার্থী। 

তালিকার বিষয়ে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, 'যে তালিকা প্রকাশ হয়েছে সেটি সঠিক হবে। আমরা মামলার প্রেক্ষিতে ধারাবাহিকভাবে আইনগত প্রক্রিয়ায় তদন্ত করবো।'

রোববার দুপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড নূরুল আজিম সিকদার মামলার বিষয়ে বলেন,'বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের করা দুটি মামলা এজাহারভুক্ত হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন ফুটেজ, ভিডিও ও ঘটনাস্থল বিশ্লেষণ করে যাদেরকে পেয়েছে তাদের নাম প্রকাশ করেছে। এখনও অনেককে শনাক্ত করা যায়নি। তাই অজ্ঞাতনামা রাখা হয়েছে।' অজ্ঞাতনামা এ মামলায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোনোভাবে হয়রানির শিকার হবে না বলেও তিনি আশ্বাস দেন।

আরও পড়ুন

×