ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

টিএমএসএসের বগুড়া পশু অভয়ারণ্যের ৪ হরিণের মৃত্যু

টিএমএসএসের বগুড়া পশু অভয়ারণ্যের ৪ হরিণের মৃত্যু

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৩:৪০ | আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৩:৪০

জাতীয় চিরিয়াখানা থেকে বগুড়ার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘের (টিএমএসএস) কেনা চারটি চিত্রা হরিণ মারা গেছে। এজন্য অ্যানেসথেসিয়ার (অবেদন) প্রভাবকে দায়ী করছে টিএমএসএস পশু অভয়ারণ্য কর্তৃপক্ষ।

রোববার রাতে পাঁচটি চিত্রা প্রজাতির হরিণগুলো ঢাকা থেকে বগুড়ায় এসে পৌঁছায়। তখন খাঁচার মধ্যে চারটি হরিণকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এর আগে শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ট্রাকে করে হরিণগুলো পাঠানো হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোশারফ হোসেন। গত মে মাসে একই সংস্থার ক্রয় করা তিনটি হরিণ পরিবহনের সময় মারা গিয়েছিল।

সূত্র জানায়, বগুড়ার নওদাপাড়ায় টিএমএসএস বিনোদনপার্কে ৯০ শতক জায়গার ওপরে হরিণ পালনে পশু অভয়ারণ্য বা চিড়িয়াখানা গড়ে তোলা হয়েছে। লাইসেন্স পাওয়ার পর এ পর্যন্ত চিড়িয়াখানা থেকে দু’বারে ১১টি হরিণ ক্রয় করে আনা হয়। প্রতিটি হরিণের মূল্য ছিল ৫০ হাজার টাকা।

টিএমএসএস পশু অভয়ারণ্যের নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাকিম শাহ বলেন, রোববার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে ৫টি হরিণকে অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে খাঁচায় তোলা হয়। পরে খাঁচাসহ ট্রাকটি বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। পথে সাভারেই একটি হরিণ মারা যায়। আর রাত আড়াইটার দিকে খাঁচা থেকে নামানো হলে চারটি হরিণ মৃত পাওয়া যায়।

জাতীয় চিড়িয়াখানার ভেটেরিনারি সার্জন নাজমুল হুদা সমকালকে বলেন, গাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রায় সময় হরিণ মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে। চিত্রা হরিণ অনেক সংবেদনশীল। এদেরকে অতিরিক্ত অ্যানেসথেসিয়া দেওয়া হয় না। দেখা যায়, ১০টি পাঠালে তিনটিই মারা যায়।

বগুড়া জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোশারফ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে সদর উপজেলার একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়েছিল।

আরও পড়ুন

×