ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

তিন মাস আগেই উৎপাদনে ঘোড়াশাল সার কারখানা

তিন মাস আগেই উৎপাদনে ঘোড়াশাল সার কারখানা

ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার কারখানা। ছবি: সমকাল

পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪:০০ | আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪:০০

উদ্বোধনের অপেক্ষায় দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ পরিবেশবান্ধব ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার কারখানা। নির্ধারিত সময়ের তিন মাস আগেই আগামী অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সারকারখানাটি উদ্বোধনের কথা রয়েছে। এরই মধ্যে প্রকল্পটির ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

দেশে ইউরিয়া সারের উৎপাদন বাড়াতে নরসিংদীর পলাশে স্থাপন করা হয়েছে ঘোড়াশাল সার কারখানা। সরকারের মেগা প্রকল্পের আওতায় সার কারখানাটি স্থাপন করা হয়। কারখানাটিতে দৈনিক ২ হাজার ৮০০ টন সার উৎপাদিত হবে। আর বছরে উৎপাদন হবে ৯ লাখ ২৪ হাজার টন সার। সারকারখানাটি উৎপাদনে এলে বিদেশ থেকে আমদানি কমে আসবে এবং প্রান্তিক কৃষকরা কম দামে সার কিনতে পারবেন। 

সার কারখানা সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ১০ মার্চ। শেষ হওয়ার সম্ভাব্য সময় ধরা হয়েছিল ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস। তবে নির্ধারিত সময়ের তিন মাস আগেই উৎপাদনে যাচ্ছে কারখানাটি। উৎপাদন শুরু হলে বিদেশ থেকে আমদানি নির্ভরতা ৫ ভাগের ১ ভাগে নেমে আসবে। বছরে সাশ্রয় হবে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। আধুনিক ও পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তিতে নির্মাণ করা হয়েছে এ কারখানাটি। কারখানা স্থাপনে খরচ হয়েছে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের ব্যয় ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। বাকি টাকা নির্মাতা দুই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। কারখানাটি যৌথভাবে নির্মাণ করছে জাপানের মিতসুবিশি হেবি ইন্ডাস্ট্রিজ ও চায়না প্রতিষ্ঠান সিসি সেভেন।

ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়ার ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি প্রকল্প পরিচালক রাজিউর রহমান মল্লিক বলেন, ‘আমরা করোনা মহামারির মধ্যেও কাজ করতে পেরেছি। তাই নির্ধারিত সময়ের তিন মাস আগেই উৎপাদনে যাওয়া সম্ভব হয়েছে।’

জানা যায়, সারকারখানাটি নির্মাণে বিশ্বের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো- বাংলাদেশে যত সার কারখানা রয়েছে সেগুলোতে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসটা পরিবেশ দূষিত করে। তবে এই সার কারখানার দূষিত গ্যাস আকাশে ছেড়ে না দিয়ে তা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে আবারও ইউরিয়া সার উৎপাদন করা হবে।

দেশে বছরে ২৫ লাখ টন ইউরিয়া সারের প্রয়োজন হলেও এই কারখানাটি উৎপাদনে এলে ২০ লাখ টন পাওয়া যাবে। আর বাকি ৫ লাখ টন বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে। 

আরও পড়ুন

×