ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

পণ্য ভাসিয়ে ও মাথায় নিয়ে পার হন কৃষক

পণ্য ভাসিয়ে ও মাথায় নিয়ে পার হন কৃষক

ডুমুরিয়ার কুলবাড়িয়া-খুটোখালী বিলের মধ্যে খালের ওপর বাঁশের সাঁকো দিয়ে উৎপাদিত কৃষিপণ্য নিয়ে পার হচ্ছেন কৃষক - সমকাল

ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ০৪:৩৩

খুলনার ডুমুরিয়ার কুলবাড়িয়া ও খুটোখালী বিলে প্রায় আট হাজার বিঘা জমিতে উৎপাদন হচ্ছে ধান, মাছ ও সবজি। এসব পণ্য কৃষকরা মাথায় করে ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো দিয়ে বা পানিতে ভাসিয়ে পার হন। বছরে তাদের উৎপাদিত পণ্যের দাম প্রায় ১৫ কোটি টাকা বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে। আটলিয়া ইউনিয়নের কুলবাড়িয়া-খুটোখালী স্লুইস গেটের উত্তরে জেলেপল্লির সংযোগ খালে রয়েছে বাঁশের সাঁকোটি।

কৃষকের উৎপাদিত পণ্য পরিবহনে সাঁকোটি যুগ যুগ ধরে ব্যবহার হচ্ছে। চার গ্রামের মানুষ এটি ব্যবহার করে। কুলবাড়িয়া-খুটোখালী বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে গ্রামীণ সরু কাঁচা রাস্তা দিয়ে এক কিলোমিটার পায়ে হেঁটে কাঁঠালতলা-মাগুরখালী পাকা সড়কে আসতে হয়। বর্ষা মৌসুমে উৎপাদিত পণ্য বস্তাবন্দি করে মাথায় নিয়ে অথবা পানিতে ভাসিয়ে রশি দিয়ে টেনে গন্তব্যে নিয়ে যান।

কৃষকরা জানান, ১৫ বছর ধরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যের কাছে দাবি জানানো হয়েছে বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে খালের ওপর একটি সেতুর নির্মাণের জন্য। কিন্তু আজও হয়নি। প্রসেনজিৎ মণ্ডলসহ এলাকার কৃষকদের ভাষ্য, বছরের পর বছর প্রতিশ্রুতিতেই সীমাবদ্ধ আছে।

খুটোখালী গ্রামের নিরাপদ মণ্ডল ও কার্ত্তিক মণ্ডলের ভাষ্য, অনেক সময় খালের পানিতে ভাসিয়ে নিতে হয়। বর্ষা মৌসুমে কৃষিপণ্য ও বিভিন্ন সামগ্রী নষ্টও হচ্ছে। খালের ওপর সেতু হলে ফড়িয়ারা সরাসরি ক্ষেতে আসতে পারতেন।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দিন বলেন, বাঁশের সাঁকোর স্থলে সেতু নির্মাণে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে কাজ হয়নি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় কৃষকরা উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সেতু নির্মাণকাজ শুরু হবে।


আরও পড়ুন

×