শিশুকে মেয়াদোত্তীর্ণ ইনজেকশন প্রয়োগের অভিযোগ

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ০২:২০ | আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ০২:২০
বরগুনার বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পেটের পীড়ায় আক্রান্ত রায়হান হোসেন (১৫) নামে এক শিশুকে মেয়াদোত্তীর্ণ ইনজেকশন প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে বিষয়টি জানাজানি হয়। রায়হান বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের উত্তর ছোপখালী গ্রামের রাসেল হাওলাদারের ছেলে।
পেটের পীড়ায় আক্রান্ত রায়হান গত রোববার থেকে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।
রায়হানের মামা আব্দুল রাজাক বলেন, চেকআপের পর চিকিৎসক জানায়, রোগীর লিভারে ইনফেকশন হয়েছে। এজন্য তারা গত সোমবার রোগীকে তিনটি ইনজেকশন দেয়। তারপরও রায়হানের ব্যথা কমছিল না। মঙ্গলবার তাকে আরও দুটি ইনজেকশন দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, আমি ওইদিন সন্ধ্যায় হাসপাতালে এলে আমার বোন জানায়, রায়হানের শরীর জ্বালাপোড়া করছে। তখন খালি বোতল চেক করে দেখি, ইনজেকশনগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল। ৫ মাস আগেই এগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। তখন বিষয়টি নার্সদের জানালে তারা জানায়, ডেট না থাকলে কিছু হয় না। এরপর তারা ইনজেকশনের বোতলগুলো নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ভুল স্বীকার করে হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স মানসুরা ইয়াসমিন বলেন, অনেক রোগী ভর্তি থাকায় তাড়াহুড়ো করে ভুলবশত ওই ইনজেকশনটি দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, স্টোর ইনচার্জ ইনজেকশনটি স্টোর থেকে এনে মহিলা ওয়ার্ডের পাশে রেখেছিল। তিনি সেখান থেকে নিয়ে রোগীর শরীরে পুশ করেছেন।
তবে স্টোর ইনচার্জ মোসা. সালমা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি দুপুরে ডিউটি শেষে বাসায় চলে যাই। ইনজেকশনটি মানসুরা নামে এক সেবিকা পুশ করেছে। তবে ইনজেকশনটি পুরোটা দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, আমার স্টোরে মেয়াদোত্তীর্ণ কোনো ওষুধ নেই। ওই নার্স ইনজেকশনটি কোথায় পেয়েছেন, আমি জানি না।
এ বিষয়ে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফাহমিদা লস্কর জানান, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ কীভাবে এসেছে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তে যার দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ মিলবে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।