দুদককে এখন আর কেউ দন্তহীন বলতে পারবে না

দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এখন অনেক শক্তিশালী উল্লেখ করে দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান বলেছেন, এ প্রতিষ্ঠানকে এখন আর কেউ দন্তহীন বলতে পারবে না।

বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে দুদকের গনশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, দুদক একটি শক্তিশালী স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। যারা দূর্নীতি করছেন, তারা সাবধান হয়ে যান। দূর্নীতি করে সম্রাটরা অনেক সম্পদের মালিক হয়েছিলেন, তারাও পার পাননি। এখন কেউ দূর্নীতি করে রেহাই পাবেন না।

দুদক কমিশনার আরও বলেন, আমরা গণশুনানির মাধ্যমে মানুষের দূঃখ-কষ্ট লাঘব করতে এসেছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে দূর্নীতি রুখতে হবে। দেশের প্রতিটি জেলায় দূর্নীতি দমন কমিশন গড়ে তোলা প্রয়োজন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক সেনাপ্রধান ও ৩ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) কে এম সফিউল্লাহ (বীরউত্তম) বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে দুদককে আরও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে।

এ সময় বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, রূপগঞ্জ উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও গ্যাজেটভুক্ত সমাজসেবী মোজাম্মেল হক ভুঁইয়া।

জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে গণশুনানিতে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দূর্নীতি দমন কমিশনের বিভাগীয় পরিচালক আক্তার হোসেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান ভুইয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতাজ বেগম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তরিকুল ইসলামসহ অনেকে।

ঢাকা জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তারা ভুলতা, মুড়াপাড়া, মঠেরঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় ক্যাম্প বসিয়ে বিভিন্ন দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ গ্রহণ করেন। গণসচেতনতা বাড়াতে এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ করতেই এ গণশুনানির আয়োজন করা হয়। গণশুনানিতে ১১০টি অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। এ সময় অভিযোগকারী এবং অভিযুক্তদের মুখোমুখি করা হয়। কয়েকটি অভিযোগ তাৎক্ষণিক সমাধান করা হয়। এ ছাড়া বাকি অভিযোগগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।