ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু, গাফিলতির অভিযোগ 

সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু, গাফিলতির অভিযোগ 

প্রতীকী ছবি

রাজবাড়ী প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ | ১৬:২৪ | আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ | ১৮:১৭

রাজবাড়ী কারাগারে শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস (৪৩) নামে সাজাপ্রাপ্ত এক কয়েদি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার সকালে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে তিনি মারা যান। 

শহিদুল রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের বাহিরচর গ্রামের আবুল বিশ্বাসের ছেলে। 

জানা গেছে, চেক ডিসঅনার মামলায় এক বছরের জেল হয় শহিদুলের। সেই মামলায় তিনি দণ্ড ভোগ করছিলেন। আগামী মে মাসে সাজার মেয়াদ শেষে কারাগার থেকে মুক্ত পাওয়ার কথা ছিল তার। 

শহিদুলের ভাই রেজাউল বিশ্বাস জানান, তার ভাই বালিয়াকান্দির বহরপুর বাজারে পাট ব্যবসা করতেন। চেক ডিসঅনার মামলায় তার ভাইয়ের এক বছরের সাজা হয়। মাঝে মধ্যেই তার ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে কারাগারে যেতেন। আজ (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কারাগার থেকে তাকে ফোন করে ভাইয়ের অসুস্থতার খবর জানানো হয় এবং তার (ভাইয়ের) এনআইডি কার্ড নিয়ে আসতে বলা হয়। কারাগারে আসার পর জানতে পারেন তার ভাই মারা গেছেন। তিনি শুনতে পেয়েছেন, রাত তিনটার দিকে তার ভাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয় সকাল ৬টার পর। তার ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য কারা কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ করেন তিনি। 

রাজবাড়ী জেলা কারাগারের জেল সুপার আব্দুর রহিম জানান, ২০২৩ সালের ১৯ মে গ্রেপ্তারের পর রাজবাড়ী কারাগারে বন্দী ছিলেন শহিদুল। সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে তার বুকে ব্যথা হলে কারা চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা করেন। সকাল ৬টা ১০ মিনিটে তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সাড়ে ৬টার দিকে হাসপাতাল থেকে তাকে জানানো হয় উন্নত চিকিৎসার জন্য শহিদুলকে ফরিদপুর নিতে হবে। তিনি এ জন্য কাগজপত্র প্রস্তুত করছিলেন। সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে খবর পান শহিদুল মারা গেছেন। কারাবিধি অনুযায়ী রাজবাড়ী সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের পর শহিদুলের মরদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। রোগীর চিকিৎসায় কারা কর্তৃপক্ষের কোনো গাফিলতি ছিল না বলে দাবি করেন তিনি। 

জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. দেলোয়ার হোসেন জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শহিদুলের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

আরও পড়ুন

×