ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যানের হয়ে পরীক্ষা, তরুণীর কারাদণ্ড

উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যানের হয়ে পরীক্ষা, তরুণীর কারাদণ্ড

প্রতীকী ছবি

আলমডাঙ্গা (চুয়াডাঙ্গা) সংবাদদাতা

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ০২:১০ | আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ১০:৫৭

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ/বিএসএস পরীক্ষায় চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতুর বদলে পরীক্ষা দিতে এসে সালমা খাতুন নামে অনার্স পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী আটক হয়েছেন। শনিবার দুপুর ২টার দিকে আলমডাঙ্গা মহিলা কলেজ কেন্দ্র থেকে ওই শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। পরে সালমা খাতুনকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ। এছাড়া মূল পরীক্ষার্থী কাজী মারজাহান নিতুকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

পরীক্ষার্থী সালমা খাতুন (২৪) আলমডাঙ্গা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুপাড়া এলাকার জহুরুল ইসলামের মেয়ে। এছাড়া বহিষ্কৃত পরিক্ষার্থী মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী কামালে মেয়ে ও তিনি আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান। 

আলমডাঙ্গা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আনুরা খাতুন বলেন, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শনিবার বিএ/বিএসসি চতুর্থ বর্ষের সমাজতন্ত্র-৩ পত্রের পরিক্ষা চলছিল। কলেজ শিক্ষার্থী কাজী মারজাহান নিতু মূল পরীক্ষার্থী। নিতুর হয়ে সালমা খাতুন পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রের সঙ্গে চেহারা মিলিয়ে স্বাক্ষর নেওয়া হচ্ছিল। নিতুর আসনে বসা পরীক্ষার্থী বোরকা পরা ছিলেন। কিন্তু তিনি বোরকার নিকাব খুলে চেহারা দেখাতে চাইছিলেন না। তার কথাবার্তাও অসংলগ্ন ছিল। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্বীকার করেন, নিতুর হয়ে তিনি ‘প্রক্সি’ পরীক্ষা দিতে আসেন। এ ঘটনায় ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। এছাড়া মূল পরিক্ষার্থী নিতুকে বহিষ্কার করেন। 

আলমডাঙ্গা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ বলেন, দুপুরে খবর পেয়ে তিনি ওই কলেজে যান। ‘প্রক্সি’ পরীক্ষার্থী সালমাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া মূল পরিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন

×